উচ্চমাধ্যমিকের অকৃতকার্যদের ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। জেলায় জেলায় বিক্ষোভ শুরু করেছে তারা। এই অবস্থায় ক্ষোভ প্রশমনে এবার সরাসরি হস্তক্ষেপ করল স্কুল শিক্ষা দফতর। কোন স্কুলে, কেন বিক্ষোভ হচ্ছে তা নিয়ে জেলাশাসকদের থেকে রিপোর্ট তলব করল দফতর।
শিক্ষাদফতর সূত্রে খবর, জেলাশাসকদের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে স্কুলে-স্কুলে যাবেন এসআই এবং ডিআইরা। তারপরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষর ফলপ্রকাশ হওয়ার পর থেকেই জেলায়-জেলায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পড়ুয়ারা। কোথাও রাস্তা বন্ধ করে চলছে বিক্ষোভ, কোথাও আবার স্কুলে ভাঙচুর হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আজ সোমবার জরুরি বৈঠক ডেকেছিল শিক্ষাদফতর। সেই বৈঠকে ছিলেন শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনও। বৈঠক শেষেই জেলাশাসকদের নয়া নির্দেশিকা পাঠাল শিক্ষাদফতর।
আরও পড়ুন : দিল্লি চললেন মমতা, মঙ্গলে মোদী-সাক্ষাৎ, বুধে জোট আলোচনা
পরীক্ষার্থীদের একাংশের অভিযোগ, উচ্চ মাধ্যমিকে প্রত্যাশার তুলনায় তাঁদের নম্বর কম এসেছে। আবার কেউ কেউ পাশ করতে পারেনি। বিকল্প পদ্ধতিতে নম্বর দেওয়ার সময় সংসদে কিংবা স্কুলে গণ্ডগোল হয়েছে বলেও দাবি পড়ুয়াদের একাংশে। সেই ক্ষোভ সামাল দিতে কয়েক আগে পদক্ষেপ করেছিল উচ্চ শিক্ষা সংসদ। বলা হয়েছিল, ক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের সঙ্গে দ্রুত কথা বলুক স্কুল কর্তৃপক্ষ। কেন পড়ুয়াদের ক্ষোভ, তা দ্রুত জেনে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে জানাতে বলা হয়েছিল।
ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা সংসদের। দ্রুত এই প্রক্রিয়া শেষ করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও বিক্ষোভ থামেনি। তাই এবার সরাসরি হস্তক্ষেপ করল শিক্ষাদফতর। সূত্রের খবর, এদিন শিক্ষা দফতরের তরফে উচ্চ মাধ্যমিক সংসদকে সক্রিয় হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য পড়ুয়াদের স্বার্থে ব্যবস্থা নেবে বলেও জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : কলকাতায় রানিকুঠির পুকুরে ভেসে উঠল মৃতদেহ
উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার ৯৭.৬৯ শতাংশ। অঙ্কের হিসেবে মাত্র ২.৩১ শতাংশ ছাত্রছাত্রী অকৃতকার্য হয়েছে। মাত্র ২.৩১ শতাংশ ছাত্রছাত্রী অকৃতকার্য হওয়ার পর শুক্রবার থেকে পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে। সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত রুমানা সুলতানার কান্দির স্কুলেও কম নম্বর পাওয়ায় বিক্ষোভ হয়েছে। এছাড়া বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, হাওড়া -সহ বিভিন্ন জেলার স্কুলে বিক্ষোভে শামিল হয়েছে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা।
প্রসঙ্গত, উচ্চ মাধ্যমিকে কেন এতজন ফেল করল তা নিয়ে ইতিমধ্যেইসংসদ সভাপতি মহুয়া দাসের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে দফতর।