উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস। ভগবানগোলা ও বরানগর থেকে তৃণমূল প্রার্থী ঘোষণা করেন শুক্রবারই। অনেক আগে থেকেই জল্পনা ছিল যে বরানগরে প্রার্থী হতে চলেছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশেষে সেই জল্পনাই সত্যি হল। সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হলেন বরানগর থেকে। সায়ন্তিকার বিপরীতে দাঁড়াচ্ছেন বিজেপির সজল ঘোষ। প্রসঙ্গত, এই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক তাপস রায় সদ্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর bangla.aajtak.in-কে সায়ন্তিকা তাঁর প্রতিক্রিয়া জানালেন।
বরানগরের উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন, কেমন লাগছে? সায়ন্তিকা বলেন, 'খুব ভাল লাগছে। বরানগর ভীষণ সম্মানীয় একটি আসন, এতদিন ধরে বর্ষীয়ান নেতারা এই কনটেস্টে লড়েছেন এবং জিতেছেন, তাই প্রস্তুতিতাও সেভাবে করছি, যাতে সেখান থেকে আমরা আবার জিতে আসতে পারি।' তবে কি এটা বলা যায় সায়ন্তিকার অভিমান অবশেষে মিটল? সায়ন্তিকা এ প্রসঙ্গে বলেন, 'না না, ভালোবাসা থাকলে অভিমান হয় আর অভিমান থাকলে পরে আরও দায়িত্ব বাড়ে। একটা মোটিভেশন পেলাম এই আর কী।'
বাঁকুড়াতে এত বছর ধরে কাজ করলেন, অথচ লোকসভার টিকিট পেলেন না, উপনির্বাচনে প্রার্থী করা হল আপনাকে, সান্তনা পুরস্কার মনে হচ্ছে কি? সায়ন্তিকা এ বিষয়ে বলেন, 'না, একেবারেই এটা মনে হচ্ছে না। সান্তনা পুরস্কার বলে কিছু হয় না। নয় হয় আর নয় হয় না, সান্তনা পুরস্কার বলে কিছু হয় না। আমি তো নতুন, আমার অভিজ্ঞতাও নতুন। তাই অনেক রকম পয়েন্ট ভেবে, অনেক ভেবে সেই কাজটা করতে হয়। আমি সংগঠনের কাজ গত ৩ বছর ধরে করেছি, আমি অনেক কিছু শিখেছি, অভিজ্ঞতাও হয়েছে। আর আমি মনে করি আমি শুধুই গেইন করেছি। আমি আরও শক্তিশালী হয়েছি, আমি সামনের দিকে তাকিয়েই এগিয়ে চলছি তাই। বরানগর একটা শক্ত ঘাঁটি, যেখান থেকে বড় বড় বিধায়করা কনটেস্ট করেছেন। আমি আমার অভিজ্ঞতাকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাব। আর আমি জিতবই এটাই বিশ্বাস।'
২০২১ সালে বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে জিততে পারেননি। বিজেপি প্রার্থী নীলাদ্রিশেখর দানার কাছে হেরেছিলেন। হেরে যাওয়ার পর বাঁকুড়ার মাটি আঁকড়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। সেখানেই দিনরাত এক করে থাকতেন সায়ন্তিকা। তবে লোকসভা নির্বাচনে টিকিট না পাওয়ায় অভিমানী হয়েছিলেন তিনি। সে কথাও জানিয়েছেন অকপটে। তবে উপনির্বাচনের টিকিট পাওয়ার পর সেই অভিমান কিছুটা হলেও মিটেছে।
লোকসভা ভোটের সঙ্গেই বিধানসভার উপনির্বাচন হতে চলেছে ভগবানগোলা ও বরাহনগরে। ভগবানগোলায় বিধায়ক ছিলেন ইদ্রিশ আলি। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়। তারপর খালি হয় ওই আসনটি। সেই ২০১১ সাল থেকে বরানগর আসনে বিধায়ক ছিলেন তৎকালীন তৃণমূল নেতা তাপস রায়। গত ৬ মার্চ তৃণমূল ছেড়ে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তাপস। তিনি এখন উত্তর কলকাতায় বিজেপির প্রার্থী। ওই দুই কেন্দ্রে ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করার কথা ছিল।