পাহাড়ে ফিরেই তৃণমূল কংগ্রেসের হাত শক্তি করতে নেমে গিয়েছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং। বিমলের অভিযোগ গত ১২ বছর ধরে পাহাড়বাসীর সঙ্গে প্রতারণা করে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এরপরেই গুরুং-এর হুঁশিয়ারি ছিল, এবার গোর্খারা দেখিয়ে দেবে কী করতে পারে! এবার তৃণমূলের হাত আরও শক্ত করতে পাহাড় জুডে় পোস্টারিং শুরু করলেন গুরুং। যেখানে ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, গোর্খাদের জন্য কী কাজ করা হয়েছে?
গোর্খা সম্প্রদায়ের আদিবাসী সম্প্রদায় হিসাবে স্বীকৃত কী হল? কোথায় স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান? বিজেপির কাছে এই প্রশ্ন রেখে সারা পাহাড় জুড়ে পোস্টারিং করেছে বিমলপন্থীরা। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্শিয়াং-এ আছেন গুরুং। প্রায় সাড়ে তিন বছর পর পাহাড়ে ফিরেছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার এই নেতা। রবিবার মরিনে জনসভা করার কথা রয়েছে তাঁর। পাহাড়ে আসার পর থেকেই নিজের জনভিত্তি শক্ত করতে একের পর এক জনসভা করে চলেছেন গুরুং।
গুরুং বলেন, বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ১১ গোর্খা কমিইনিটিকে আদিবাসী স্ট্যাটাস দেওয়া হবে, গোর্খাল্যান্ড সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান হবে। কিন্তু আগামী ৮ মার্চ সংসদে বাজেট অধিবেশন শেষ হতে চলেছে। এই নিয়ে কোনও গেলদোল নেই কেন্দ্রের। এরপর রাজ্যে নির্বাচনী বিধি লাগু হয়ে যাবে। এরপরেই গুরুং-এর প্রশ্ন, তাহলে কীভাবে নিজেদের প্রতিশ্রুতি রাখবে গেরুয়া শিবির। আসলে বিজেপি সবসময়ই গোর্খাদের অন্ধকারে রাখতে চেয়েছে। এবার আমরা বিজেপিকে দেখিয়ে দেব গোর্খারা কী করতে পারে।
এদিন পাহাড়ে গোর্খার সেন্ট্রাল কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় রবিবার মিরিকে ফের জনসভায় নামছেন গুরুং। বলাই বাহুল্য সেখানে ফের একবার বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা যাবে এই গোর্খা নেতাকে। পাহাড়ে অশান্তির পর গা-ঢাকা দিয়েছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার (তৎকালীন সুপ্রিমো বিমল গুরুং । বিধানসভা ভোটের আগে ঘর ' ফিরলেন সাড়ে ৩ বছর পর। ফিরেই তৃণমূলনেত্রীকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন গুরুং। পাহাড়ে ১৮টা আসনেই এবার বিজেপিকে হারাতে বদ্ধপরিকর গুরুং শিবির।