তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। শুক্রবার গ্রেফতারির পর এমনটাই দাবি করেছিলেন বিজেপি যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক পামেলা গোস্বামী। এদিন কোর্ট লক-আপে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন পামেলা। মাদককাণ্ডে গ্রেফতার পামেলার অভিযোগ তিনি চক্রান্তের শিকার। তাঁর অভিযোগ বিজেপি নেতা রাকেশ সিংয়ের দিকে। উল্লেখ্য রাকেশ সিং বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত।
২০১৯ সালে বিজেপিতে যোগ দেন পামেলা গোস্বামী। তবে দু'বছরের মধ্যেই তার রাজনৈতিক উত্থান কিন্তু চোখে পড়ার মত। দলে যোগদানের পরের বছরই বিজেপি যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক হন তিনি। হুগলি বিজেপির যুব মোর্চার পর্যবেক্ষকও পামেলা। মুকুল রায় থেকে দিলীপ ঘোষ সকলের সঙ্গেই যোগাযোগ ছিল পামেলার। জেপি নাড্ডার কলকাতা সফরের সময়ও পাশে ছিলেন পামেলা। যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্যের সঙ্গে নিজের ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন পামেলা। যা দেখে মনে হয় দলের উপর মহলের সঙ্গে ভালি পরিচিতি রয়েছে তাঁর। এহেন পামেলার থেকে ৯০ গ্রাম কোকেন বাজেয়াপ্ত হওয়ার পর যথেষ্টই বেকায়দায় বিজেপি নেতৃত্ব।
এই গ্রেফতারির নেপথ্যে রাজনীতি রয়েছে বলেই দাবি করছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু কোর্ট লকআপে যাওয়ার পথে পামেলার যা দাবি করছেন তাতে আরও চিন্তার ভাজ বিজেপির কপালে। পামেলার দাবি বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকেই ইশারা করছে। এর আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনায় নাম উঠে এসেছিল রাকেশ সিং-এর।
বন্দর এলাকায় যথেষ্ট ডাকাবুকো নেতা হিসেবে পরিচিত রাকেশ সিং। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের ঠিক আগে কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেন রাকেশ। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল। প্রায়শই ‘গরম-গরম’ মন্তব্য করে থাকেন রাজ্য বিজেপির বস্তি উন্নয়ন শাখার আহ্বায়ক। সূত্রের খবর, বিজেপির নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ক ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত রাকেশ। গত জানুয়ারিতে দক্ষিণ কলকাতায় শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে মিছিল করার কথা ছিল, তা আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন রাকেশই। ডায়মন্ডহারবারে যাওয়ার পথে জেপি নাড্ডার কনভয়ে যে হামলা হয়েছিল তাতে রাকেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল পুলিশ। তাতে অভিযোগ ছিল, কনভয় থেকেইরাকেশ সিংহ তৃণমূল কর্মীদের অঙ্গভঙ্গি করে প্ররোচনা দেয়। এবার রাকেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিজেপিকে রীতিমত অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন পামেলা। গোটা বিষয়টিতে সিআইডি তদন্ত দাবি করেছেন বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক।