বাংলাদেশে যখন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইউনূস সরকার, বন্ধু পাতিয়েছে পাকিস্তানকে, তখন ভারতে একাত্তরের সেই যুদ্ধ ও নতুন বাংলাদেশ গড়ার দিনকে উত্সব হিসেবে পালন করছে ভারতীয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানকে যুদ্ধে হারিয়েছিল ভারত।
মুক্তিযোদ্ধারাও পেয়েছিলেন মুক্তির স্বাদ। বিজয় দিবস-এর আগে ইস্টার্ন কম্যান্ড হেডকোয়ার্টার্সে মহড়া চলছে। কলকাতায় গড়ের মাঠে সেনা হেলিকপ্টার উড়ল।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দুর্গে (একদা ফোর্ট উইলিয়ম) মঙ্গল পাণ্ডে ট্রেনিং এরিয়াতে গ্র্যান্ড মিলিটারি ট্যাটুর আয়োজন করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের অবাধ প্রবেশ ও তাঁরা দেখে পাবেন বিজয় দিবসের উদযাপন। ভারতীয় সেনার অস্ত্র, হেলিকপ্টার সহ সব কাছ থেকে দেখে পাবেন সাধারণ মানুষ।
একাত্তরের বিজয় দিবস উদযাপন শুরু হবে সেনার কমব্যাট হেলিকপ্টার উড়িয়ে। তারপর ঘোড় সওয়ারিতে নানা পারফর্ম্যান্স দেখানো হবে। এই গর্ব ও গায়ে কাঁটা দেওয়া মুহূর্তগুলি দেখতে পাবেন আপনিও। ঠিক যেভাবে যুদ্ধের ময়দানে লড়াই করে সেনা, ঠিক সেই রকমই দৃশ্য তুলে ধরা হবে।
এছাড়াও আর্মি ব্যান্ডের বিশেষ পারফর্ম্যান্স রয়েছে। ভারতীয় সেনার আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতের বিজয় এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্মরণে প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর ‘বিজয় দিবস’ পালন করে ভারতীয় সেনা।
এবার ৫৪তম বিজয় দিবস ২০২৫ উদ্যাপিত হতে চলেছে আরও বিশেষ তাৎপর্য নিয়ে। কারণ, এই বছরের বিজয় দিবসের মূল থিম হিসেবে রাখা হয়েছে, অপারেশন সিঁদুর।
বিজয় দিবসের আগের দিন, আজ অর্থাৎ ১৫ ডিসেম্বর, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু নিজে উপস্থিত থাকছেন সেনাপ্রধানের বাসভবনে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে।
বিজয় দিবস উদযাপনের অন্যতম কেন্দ্র এবার কলকাতা। এই উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কলকাতায় আসছেন। এই দলে থাকবেন ৮ জন মুক্তিযোদ্ধা, ১৯৭১ সালের যুদ্ধে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি সেনা আধিকারিক এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।
২০২৪ সালের অগাস্টে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বাংলাদেশের কোনও প্রতিনিধি দল বিজয় দিবসে ভারতে আসছে।
১৫ ডিসেম্বর কলকাতার আরসিটিসি গ্রাউন্ডে আয়োজন করা হবে বর্ণাঢ্য মিলিটারি ট্যাটু শো, যেখানে সেনারা তাঁদের শৌর্য, দক্ষতা ও কৌশলের নজির তুলে ধরবেন। ১৬ ডিসেম্বর সকালে বিজয় মেমোরিয়ালে শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে আয়োজিত হবে বিশেষ পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ অনুষ্ঠান। সেখানে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস, ১৯৭১-এর যুদ্ধের প্রবীণ সেনা ও আধিকারিকরা।