BJP ত্যাগ করে বাবুল সুপ্রিয় এখন তৃণমূলের 'সৈনিক'। শনিবার তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। তারপর রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন। এরপর সোমবার সাক্ষাৎ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।
সাক্ষাতের শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, 'আমি আপ্লুত।' রবিবার বাবুল সুপ্রিয় একথাও জানিয়েছিলেন, তিনি জনপ্রিয়তম মানুষ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।'
অথচ এই বাবুল সুপ্রিয়ই BJP-তে থাকাকালীন বিভিন্ন ইস্যুতে বাছা বাছা বিশেষণে আক্রমণ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কী কী বলেছিলেন তিনি? দেখব একনজরে।
একুশের ভোটে বঙ্গ বিজেপির হয়ে প্রচারে নিজের ছবির ডায়ালগ ব্যবহার করেছিলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সেই কারণে তাঁকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়। তা নিয়ে মমতাকে আক্রমণ করেছিলেন বাবুল।
বলেছিলেন, 'বিধায়ক না হয়ে ভোটে BJP-র কাছে পরাস্ত হয়ে যিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে বসে পড়ার 'আত্মসম্মান-হীনতা' দেখতে পারেন, তিনিই বোধহয় পারেন দলমত নির্বিশেষে যিনি বাংলার ভালোবাসার মানুষ, শিল্পী হিসেবে সবার শ্রদ্ধা ও স্নেহের মানুষ, সেই মিঠুনদাকে ডেকে হেনস্থা করতে।'
বিধানসভা ভোটের প্রচারে নরেন্দ্র মোদীর মতোই 'দিদি ও দিদি, ও দিদি' বলেও মমতাকে কটাক্ষ করেছিলেন বাবুল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজনিস সামিটকেও কটাক্ষ করেছিলেন আসানসোলের সাংসদ।
"ফুটবে এবার পদ্মফুল, বাংলা ছাড় তৃণমূল" -এই গানটিও করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। আবার একুশের বিধানসভা ভোটের আগে আজকের TMC-র বাবুলই বলেছিলেন, 'নিম্ন রুচির কথা যদি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তবে বাংলার মতো সংস্কৃতিপ্রবণ একটা রাজ্যে ওঁর মুখ্যমন্ত্রী থাকার দরকার নেই।'
আবার ২০২০ সালে বাবুলের BJP ত্যাগ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। সেই সময় বাবুল তৃণমূল কংগ্রেসকে 'টিএমছিঃ' বলেন।