Blood Moon Photos: রাতের 'লাল চাঁদ' VIRAL, মহাজাগতিক বিস্ময় কোথায় কেমন দেখা গেল? সব ছবি

কলকাতায় রাত তখন প্রায় সাড়ে ১১টা। সম্পূর্ণ ঢেকে গেল চাঁদ। ধীরে ধীরে লাল আভা ছড়াতে শুরু করল চাঁদের আশপাশে। রাত ১২টা ২২ মিনিট পর্যন্ত চলল পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। দেখা গেল রক্তাভ চাঁদ। মনমুগ্ধকর সেই মুহূর্ত লেন্সবন্দি করে রাখলেন সকলেই। 

কলকাতায় যখন ঠিক রাত ১২টা। অল্প অল্প করে লালচে ছায়া কেটে বেরিয়ে আসতে শুরু করল চাঁদ। 
 

কেন দেখা গেল এমন দৃশ্য? চাঁদ এবং সূর্যের ঠিক মাঝে যখন পৃথিবী চলে আসে, চাকতিতে চাকতিতে মিলে যায়, তখনই হয় পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। পৃথিবীতে বাধা পাওয়ায় সূর্যের আলো চাঁদে এসে পৌঁছতে পারে না। তবে এই সময়ে চাঁদ পুরোপুরি কালো হয় না। লাল হয়ে ওঠে। 

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে যখন সূর্যের আলো প্রতিসৃত হয়, তখন সূর্যরশ্মির লাল অংশ কম পরিমাণে প্রতিসৃত হয় এবং তা চাঁদের উপরে গিয়ে পড়ে। অন্য দিকে, সূর্যরশ্মির নীল অংশটি চারদিকে ছড়িয়েছিটিয়ে পড়ে। তাই চাঁদকে গ্রহণের সময়ে গাঢ় কালচে লাল রঙের দেখায়। 

পূর্ণগ্রাস গ্রহণ শেষ হয় রাত ১২টা ২২ মিনিটে। তবে গ্রহণের গোটা প্রক্রিয়া চলে রাত ২টো ২৫ মিনিট পর্যন্ত। 

রাত ১২টা ৫০ মিনিটে চাঁদের ছায়া সম্পূর্ণ সরে গিয়ে অর্ধেকের বেশি চাঁদ আবার আগের মতো দেখাতে শুরু করে। যা ছিল খানিক ধূসর রংয়ের। 

লাল রঙের চাঁদ দেখতে অনেকেই ঘরের ছাদে ওঠেন। কেউ কেউ বেরিয়ে আসেন বাইরে। কলকাতা তথা গোটা ভারত জুড়ে ব্লাড মুন দেখার আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। 

ভারতে কলকাতা ছাড়াও দিল্লি, পুনে, মুম্বই থেকেও দেখা গিয়েছে গ্রহণ। রবিবারের এই চন্দ্রগ্রহণ ভারত ছাড়াও এশিয়ার, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে দেখা গিয়েছে।

চন্দ্রগ্রহণের প্রাথমিক পর্যায় ভারতীয় সময় ৮টা ৫৮ মিনিটে শুরু হয় । ৯টা ৫৭ মিনিটে চাঁদের আংশিক গ্রহণ শুরু হয়। পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয় রাত ১১টায়। 

প্রায় ৫ ঘণ্টা ২৭ মিনিট ধরে গোটা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলে। বিগত কয়েক বছরে এত দীর্ঘ সময় ধরে চন্দ্রগ্রহণ দেখা যায়নি।

২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর ভারত থেকে পরবর্তী চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। ফলে রবি রাতের এই বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য মিস করতে চাননি কেউই। 

মোট ৮২ মিনিট ধরে চলে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের প্রক্রিয়া। রাত ১২টা বেজে ২২ মিনিটে কেটে যায় গ্রহণ। আর এই ৮২ মিনিটের ম্যাজিক দেখে মুগ্ধ হয় বিশ্ব। এবারে এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ এবং আফ্রিকা থেকে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ ভাল ভাবে দেখা গিয়েছে। প্রায় ৬০০ কোটি মানুষ এই মুহূর্তের সাক্ষী হয়।