অনুপ্রেরণার আর এক নাম নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। পরাধীন দেশকে স্বাধীন করতে ছদ্মবেশে পাড়ি দিয়েছিলেন ভিনদেশে। পাহাড়প্রমাণ শক্তিশালী ইংরেজ শাসনের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
সেই নেতাজির উক্তি যেমন দেশবাসীকে আজও অনুপ্রাণিত করে তেমনই তাঁর ছবিও বাঙালি তথা দেশবাসী বারবার দেখতে চায়। সেই ছবি দেখে চোখ ভিজে আসে দেশবাসীর আবার গর্বে বুকও ভরে ওঠে। রইল এমনই কিছু ছবি।
নেতাজির নানা উক্তি আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। তিনিই বলেছিলেন, 'ভারতের ভাগ্য নিয়ে কখনও হাল ছেড়ো না। বিশ্বে এমন কোনও শক্তি নেই যা ভারতকে দাসত্বের শৃঙ্খল পরিয়ে রাখতে পারে।'
আবার তাঁর মুখ থেকেই শোনা গিয়েছিল'স্বাধীনতা কেউ অর্জন করে না, ছিনিয়ে নেয়।' আর সেই স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিতেই ইংরেজদের বোকা বানিয়ে দেশ ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেই ঘটনা ইতিহাসে নেতাজির মহানিষ্ক্রমণ নামে পরিচিত।
ইংরেজদের দেশ থেকে উৎখাত করতে আজাদ ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের ২৫শে অগাস্ট সুভাষচন্দ্র বসু আনুষ্ঠানিকভাবে আজাদ-হিন্দ-বাহিনী-র নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। সেনাবাহিনীর আমূল পুনর্গঠনের কাজে হাত দেন।
গোটা বিশ্ব নেতাজির তৈরি আজাদ হিন্দ সরকারকে স্বীকৃতি দেয়। ২৩শে অক্টোবর আজাদ-হিন্দ্-সরকার ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। জাপান, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ইটালি-সহ পৃথিবীর ৯ রাষ্ট্র এই সরকারকে স্বীকৃতি দেয়।
এই নেতাজিই প্রথম 'দিল্লি চলো'-র ডাক দেন। এই আজাদ-হিন্দ-বাহিনী অমিত বিক্রমের সঙ্গে মণিপুরে ঢুকে পড়ে। ভারতীয় এলাকার প্রায় ১৫০ মাইল ব্রিটিশ শাসন মুক্ত করতে সক্ষম হয় নেতাজির বাহিনী।
বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায়, নেতাজির সেই বাহিনীতে ৪০ হাজার প্রশিক্ষিত জওয়ান ছিলেন। নেতাজি আজাদ হিন্দ ফৌজকে পাঁচটি ব্রিগেডে বিভক্ত করেন।
লক্ষ্মী স্বামীনাথন এর নেতৃত্বে - ঝাঁসির রানি নামে একটি নারী বাহিনী বা ব্রিগেড গঠন করা হয়। অনুগামীদের অনুরোধে নিজের নামে সুভাষ ব্রিগেড গঠন করা হয়। এছাড়া অন্য তিনটি ব্রিগেড হলো-গান্ধী ব্রিগেড, নেহেরু ব্রিগেড ও আজাদ ব্রিগেড।