পয়লা বৈশাখের আগে কালীঘাটে পৌঁছলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্ষবরণের আগের রাতে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
নিজের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে মায়ের আশীর্বাদ নিতে মন্দিরে হাজির হন তিনি। পুজো শেষে মন্দির চত্বর প্রদর্শন করেন।
পুজো শেষে মন্দির চত্বর ঘুরে দেখার পর মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে পাশে নিয়ে মন্দিরের বাইরে নির্মীয়মাণ স্কাইওয়াকের কাজ শেষ হওয়ার সময়সীমা জানিয়ে দিলেন।
তিনি জানান, আমি প্রতি বছর পয়লা বৈশাখের আগের দিন কালীঘাট মন্দিরে আসি, পুজো দিই।
তিনি জানান, স্কাইওয়াকের কাজ চলছে, অগস্ট মাসে শেষ হয়ে যাবে। হকারদের বসানোর আগে সব কিছু একটা সিস্টেমে আনতে হবে বলেও দাবি করেন তিনি।
পুজো শেষে মন্দির চত্বর ঘুরে দেখার পর মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে পাশে নিয়ে মন্দিরের বাইরে নির্মীয়মাণ স্কাইওয়াকের কাজ শেষ হওয়ার সময়সীমা জানিয়ে দিলেন।
মন্দির নতুন করে সাজিয়ে তোলা প্রসঙ্গে মমতা জানান, মুকেশ আম্বানি মন্দিরের চূড়াটা করেছে। আমরাও সংস্কারের কাজ করেছি। প্রায় ২০০ কোটি টাকা আমাদেরও খরচ হয়েছে।
মন্দিরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই ভ্রাতৃবধূ লতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই কালীঘাট মন্দিরে এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যা আজানিয়া।
এদিন প্রায় আধ ঘণ্টারও বেশি সময় কালীঘাটে ছিলেন মমতা। তিনি মন্দির চত্বরের কাজের অগ্রগতি ঘুরে দেখেন।
এদিন কালীঘাট মন্দিরে যাওয়ার আগে তিনি যান মন্দির চত্বরেই থাকা নকুলেশ্বর ভৈরব মন্দিরেও। সেখানও পূজা অর্চনা করেন মমতা।
শনিবার যে মুখ্যমন্ত্রী কালীঘাট মন্দিরে আসবেন সেটা আগেই জানিয়ে দেন তিনি। সেই কথা অনুযায়ী আজ সন্ধ্যায় কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
টানা প্রচার চলছে। তাছাড়া নির্বাচনী বিধির জন্য নববর্ষের অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন না তিনি। তাই আগের দিনই পুজো দিয়ে মায়ের কৃপা প্রার্থনা করে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী।