আগামী কয়েকদিনে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। নিম্নচাপের কারণে এই বৃষ্টি বলে জানিয়েছে আলিপুর আহাওয়া দফতর।
আবাহওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে পূর্ব উত্তরপ্রদেশ থেকে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা আছে। আরও একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা সিকিম এবং উত্তরবঙ্গ থেকে ছত্রিশগড় পর্যন্ত রয়েছে। পাশাপাশি প্রচুর জলীয় বাষ্প রয়েছে বঙ্গের ওপর।
এর ফলে আগামী দু-তিন দিন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জায়গাতেই বিক্ষিপ্ত ঝড়বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এর ফলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যাবে।
১০ জুন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির সময় বাড়বে এবং সেইসঙ্গে পরিমাণও বাড়বে। তারপরের দিন, অর্থাৎ ১১ জুন নিম্নচাপ তৈরি হবে উত্তর বঙ্গোপসাগরের ওপর। তার হাত ধরেই মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করবে পশ্চিমবঙ্গের বাদ বাকি জেলায়। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ১১ জুনের পর থেকে।
১০ জুনের পর থেকে কলকাতায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। এদিন এমনই পূর্বাভাস দিয়েছেন আলিপুর আবাহওয়া দফতরের আবাহাওয়াবিদরা।
সময়ের আগেই বর্ষা এলো উত্তরবঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গে ১১ জুন বর্ষার পূর্বাভাস থাকলেও উত্তরে পূর্বাভাসকে পাশ কাটিয়ে আগাম বর্ষা ঢুকে পরল রমরমিয়ে। রবিবার থেকেই উত্তরবঙ্গের আকাশ কালো করে থাকছে সকাল থেকেই। সোমবারও তার ব্যত্যয় হয়নি। রবিবার রাতের মতই এদিন সকাল থেকেই কখনও জোরে কখনও ঢিমেতালে চলছে বৃষ্টি।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল, চলতি মাসের ১১ তারিখ উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপের হাত ধরে পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা আসছে। সেদিনই রাজ্যের বেশিরভাগ জায়গায় বর্ষা প্রবেশ করবে। ১১ তারিখের পর থেকে বঙ্গের সব জেলায় বৃষ্টি বাড়বে।
আবহাওয়া দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মূলত ৮ জুনের মধ্যে বাংলায় বর্ষা প্রবেশ করে থাকে। ক'দিন আগে হাওয়া অফিস এ-ও জানিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে স্বাভাবিকের তুলনায় এবার বৃষ্টিপাত কম হবে।
সোমবার দক্ষিণবঙ্গে প্রবল ঝড়বৃষ্টি হয়। বাজ পড়েছে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। কলকাতাতেও একই ছবি ছিল। বিকেল থেকে শুরু হয়েছিল ঝড়বৃষ্টি।