পূর্বাভাস সত্যি করে সন্ধেয় কলকাতা এবং সংলগ্ন জেলাগুলিতে নেমে এল বৃষ্টি। সেই সঙ্গে মুহুর্মুহু বজ্রপাত। তার আগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। আবহাওয়া দফতর জানাল, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ৬৪ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে গিয়েছে কলকাতার উপর দিয়ে।
সল্টলেক সেক্টর ফাইভ জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। জম জমেছে কলকাতার একাধিক এলাকায়। সন্ধ্যা ৭টা ২৩ মিনিট থেকে ঝোড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টির ফলে তাপমাত্রা একধাক্কায় অনেকটা নীচে নেমে গিয়েছে। বৃষ্টির পর স্বস্তির আবহাওয়া কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায়।
তবে এখানেই কালবৈশাখীর ইনিংস থামছে না। বরং আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে। ফলে তাপমাত্রা এখনই আর বাড়ছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, দক্ষিণবঙ্গে পূর্ব দিকের হাওয়া প্রবেশ করছে। প্রচুর জলীয়বাষ্প রয়েছে তাতে। সেই সঙ্গে উত্তর প্রদেশ থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত অক্ষরেখা রয়েছে। ফলে আগামী ৪-৫ দিন বৃষ্টি ও বজ্রপাত রাজ্যে আরও বাড়বে।
শুক্রবার দুই বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, নদিয়া, মুর্শিদাবাদে ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়বে। শনিবার কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনায় বৃষ্টি পড়েছে। রবিবার বীরভূম বাঁকুড়া,দুই বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ ও দুই মেদিনীপুরে ঝড় বৃষ্টি হবে।
সোমবার এবং মঙ্গলবার কলকাতায় ঝড়বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো বাতাসও বইবে। বুধবার বৃষ্টির পরিমাণ কম হবে। বজ্রপাতের সতর্কবার্তাও দিয়েছে হাওয়া অফিস।
রবিবার উত্তরবঙ্গেও ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া-সহ বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে শিলাবৃষ্টি।
মে মাসে আমাজন ও আয়লার মতো ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছিল বাংলায়। এবারও তেমনই একটি সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যদিও এতটা আগেভাগে এব্যাপারে কিছু বলতে চাইছে না আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
এ দিন হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ৪ মে দক্ষিণ আন্দামান সাগরের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। ৫ মে তা নিম্নচাপে পরিণত হবে। এর ফলে আন্দামান নিকোবরে ৫ থেকে ৮ মে পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টি হবে। পশ্চিমবঙ্গে কী প্রভাব পড়তে চলেছে বা ঘূর্ণিঝড় হবে কিনা তা এখনই বলার মতো পরিস্থিতি নেই।
কলকাতায় বৃষ্টির পর স্বস্তি পেয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। টুইট করে সে কথা জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শও দিয়েছেন।