গত শুক্রবরাই ফের একবার মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে গিয়ে শালীনতার সব সীমা ছাড়িয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। নাম না করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেন দিলীপ। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জোর ঝড় উঠেছে। এবার দীলিপের সেই কুকথা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী বলেন, যেভাবে বিজেপি রাজ্য সভাপতি মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে কটূক্তি করেছেন সেটা অপমানজনক ও লজ্জাজনক। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি এই বক্তব্য আসলে রাজ্যের সমস্ত মহিলাদেরই অসম্মান করা বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল যে প্রতিবাদে নামবে তাও জানিয়েছেন শশী পাঁজা। কেন্দ্রীয় সরকার 'বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও'-এর স্লোগান দিলেও সেই দলেরই রাজ্য সভাপতি মুখ্যমন্ত্রীর নামে অসাংবিধানিক কথা বলছেন বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল শিবিরের এই নেত্রী। পাশাপাশি মানুষের সামনে বিজেপির মুখোশ খুলে গিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। সাধারণ জনতাই এবার বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে বলতে শোনা যায় রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের মন্ত্রীকে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনেই বিজেপি এর জবাব পাবে বলে জানান শশী পাঁজা।
এদিকে ভোট যতই এগোচ্ছে ততই তৃণমূল ও দলনেত্রীর ওপর আক্রমণের তীব্রতা বাড়াচ্ছে গেরুয়া শিবির। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানো বিজেপি রাজ্য সভাপতির দৈনিক রুটিন হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জোকার ডায়মন্ড পার্কে চায়ে পে চর্চা কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন দিলীপবাবু। সেখানেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে শাসকদলকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে দিলীপ বলেন, "জয় বাংলা বলে পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে। দিদিমণির জয় শ্রীরাম শুনলে শরীর খারাপ হয়ে যাচ্ছে। গায়ে কীসের রক্ত আছে? লজ্জা করে না, রামের দেশে রয়েছেন আর হা**মির মতো কাজ করছেন?"
তবে এই প্রথম নয় এর আগেও নিজের শব্দচয়ন নিয়ে বহুবার সমালোচিত হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়ে তাঁর এই অশ্রাব্য গালিগালাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন গুণীজনেরা। তাতে অবশ্য় পরোয়া নেই বিজেপি রাজ্য সভাপতির। সম্প্রতি আরও একবার বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে দিলীপ ঘোষকে। বাঙালি-অবাঙালি ইস্যুকে খুঁচিয়ে তুলে দিলীপ ঘোষ দাবি করেন এরাজ্যের উন্নয়নে বাঙালিদের থেকে বেশি যোগদান রয়েছে অবাঙালিদের।