Advertisement

ক্ষমতার অপব্যবহার! IPS জ্ঞানবন্তকে নিয়ে মমতাকে কড়া চিঠি রাজ্যপালের

এর আগে বুধবারও এডিজি আইনশৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিংকে নিয়ে ট্যুইট করেছিলেন রাজ্যপাল। শুক্রবারও সেই জ্ঞানবন্তকে নিয়েই ফের মমতা সরকারকে খোঁচা দিলেন ধনখড়। দু'দিন আগের ট্যুইটে জ্ঞানবন্তের নামে পুরনো মামলার প্রসঙ্গ টেনে এনেছিলেন রাজ্যপাল।

জ্ঞানবন্ত নিয়ে এবার মখ্যমন্ত্রীকে চিঠি রাজ্যপালের
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 27 Nov 2020,
  • अपडेटेड 11:37 AM IST
  • রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলার পরামর্শ দিয়েছিল তৃণমূল
  • এই হুঁশিয়ারিতে দমলেন না জগদীপ ধনখড়
  • উল্টে স্বমহিমায় শুক্রবার সকালে ফের ট্যুইট রাজ্যপালের

বৃহস্পতিবারই রাজ্যপালের দিকে তোপ দেগেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা পুলিশকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তাব পেশ করেছেন। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ  ভারতীয় সংবিধানের ১৮৬ ও ১৮৯ ধারায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের মামলা করার অধিকার রয়েছে বলে জানান সাংসদ। কিন্তু তারপর চব্বিশ ঘণ্টাও কাটেনি। ফৌজদারি মামলার হুঁশিয়ারি পেয়েও দমলেন না জগদীপ ধনখড়। উল্টে শুক্রবার সকালেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে জারি থাকল ট্যুইট আক্রমন। 

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলা করুক পুলিশ, পরামর্শ তৃণমূলের

এর আগে বুধবারও  এডিজি আইনশৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিংকে নিয়ে ট্যুইট করেছিলেন রাজ্যপাল। শুক্রবারও সেই জ্ঞানবন্তকে নিয়েই ফের মমতা সরকারকে খোঁচা দিলেন ধনখড়। দু'দিন আগের ট্যুইটে জ্ঞানবন্তের নামে  পুরনো মামলার প্রসঙ্গ টেনে এনেছিলেন রাজ্যপাল। তাঁর অভিযোগ যোগ, এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি। এই মামলার তদন্তে রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ এবং রিনা মিত্রের ভূমিকা কী তা নাম উল্লেখ করে জানতে চেয়েছিলন রাজ্যপাল। শুক্রবারও সেই একই অভিযোগ রাজ্যপালের ট্যুইটে। 

কতটা 'ত্যাগী' ভাইপো লোকে জানে, মমতাকে নিশানা কৈলাসের

শুক্রবার ট্যুইটে মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠির কপিও তুলে দেন রাজ্যপাল। লেখেন, আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিংহের বিরুদ্ধে তদন্তের প্রেক্ষিতে এর আগে আদালত জানিয়েছিল, তিনি পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার করে অন্যোর জীবনযাপনের অধিকারে হস্তক্ষেপ করেছিলেন। যেটা সন্দেহজনক, তা হল, সরকার তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য দিতে অস্বীকার করছে। এ নিয়ে আবারও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিস্তারিত তথ্য চাইছি।

 

এর পাশাপাশি  বাংলার গণতন্ত্র বিপন্ন বলেও ফের একবার অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের সকল নাগরিককে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ধনখড়।   তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক রাজনীতিকরণ গণতন্ত্রের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক। এধরনের রাজনৈতিক আধিকারিকরা এমন একটি গোষ্ঠী তৈরি করেন যাঁরা পুলিশের ক্ষমতা অপব্যবহার করে রাজনৈতিক অভিসন্ধি পূরণ করতে পারেন। এর প্রেক্ষিতে এডিজি আইন শৃঙ্খলার পদপ্রাপ্তি বিশেষ লক্ষণীয় বলেও প্রশ্ন তুলেছেন ধনখড়।

Advertisement

অপর আরেকটি ট্যুইটে আবারও রাজ্যে অবাধ এবং স্বচ্ছ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার কল্যানের সাংবাদিক বৈঠকের পর আরও একবার এরাজ্যের প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন ধনখড়।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement