Advertisement

INK Sujit Adhikari : এক মাস আগে হারিয়েছেন স্ত্রীকে, অবসাদে নিজেকে শেষ করলেন সুজিত?

INK Sujit Adhikari: শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না সুজিত অধিকারীকে। শনিবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। এদিন সন্ধেবেলা তিনি মারা যান। মাস খানেক আগে তাঁর স্ত্রী মারা গিয়েছিলেন। তারপর থেকে তিনি অবসাদে ভুগছিলেন বলে পরিবার সূত্রে খবর।

মল্লিকবাজারের হাসপাতালে ঝুলছেন সুজিত অধিকারী। ছবি: পিটিআই
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 25 Jun 2022,
  • अपडेटेड 10:38 PM IST
  • শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না সুজিত অধিকারীকে
  • শনিবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি
  • এদিন সন্ধেবেলা তিনি মারা যান

INK Sujit Adhikari: বাঁচানো গেল না সুজিত অধিকারীকে। শনিবার দুপুরে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতাল থেকে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর চিকিৎসা সেখানেই চলছিল। এদিন সন্ধেবেলা তিনি মারা যান। মাস খানেক আগে তাঁর স্ত্রী মারা গিয়েছিলেন। তারপর থেকে তিনি অবসাদে ভুগছিলেন বলে পরিবার সূত্রে খবর। এই ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এদিন মল্লিকবাজারের ওই হাসপাতালে সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতালের আটতলা থেকে ধাঁপ দেন তিনি। গুরুতর আহত হন। তারপর তাঁকে উদ্ধার করে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাঁচানো গেল না। রবিবার এনআরএস হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হবে।

আরও পড়ুন: 'আক্রান্ত' TMC, মেদিনীপুরে পুড়ল গাড়ি, টিটাগড়ে পার্টি অফিসে বোমা

আরও পড়ুন: WhatsApp Calling-এর ডিজাইন যাবে বদলে, কেমন হবে নয়া ফিচার?

আরও পড়ুন: 'কাঁচাবাঁশ কাটা, ভোট করাতে জানি,' দিলীপের মন্তব্যে বিতর্ক তুঙ্গে 

দু'ঘণ্টা ধরে ঝুলছিলন
তিনি মল্লিকবাজারের ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেসে ঘণ্টা দুয়েক কার্নিশে ঝুলে ছিলেন। তারপরে হাত ফস্কে আটতলার কার্নিশ থেকে পড়ে যান। এবং এর ফলে গুরুতর জখম হন।

স্ত্রীর মৃত্যু
সম্প্রতি তাঁর স্ত্রী মারা গিয়েছেন। তাঁর কিডনির সমস্যা ছিল। চিকিৎসা করানোর জন্য প্রচুর টাকা খরচ হয়েছে। চিকিৎসার জন্য টাকা ধার করতে হয়েছিল তাঁকে। বাড়িতে রয়েছেন ঠাকুমা, ৯ এবং আড়াই বছরের দুই ছেলে। লোহার ছাঁটের ব্যবসা করতেন তিনি। স্ত্রীর মৃত্যুর পর সুজিত হতাশায় ভুগতে শুরু করেন বলে জানা গিয়েছে 

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে ছোটবেলায় মাকে হারান। তারপর বাবা নিরুদ্দেশ হয়ে যান। তখন থেকেই ঠাকুমার কাছেই বড় হন সুজিত। তবে স্ত্রী মৃত্যু তাঁকে প্রবলভাবে নাড়া দিয়েছিল বলে মনে করা হয়। 

Advertisement

দিন কয়েক আগে তিনি বাড়ির শৌচাগারে পড়ে যান। এরপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জ্ঞান হারান। তারপর আনা হয় মল্লিকবাজার ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেসে। এদিন সেখান থেকে ছাড়া পাওয়ার কথা ছিল তাঁর।

হাসপাতাল জানিয়েছে, দমকল ঘন্টা দুয়েক ধরে চেষ্টা করেছে যাতে রোগী ঝাঁপ না দেন। তিনি সে-সময় হুমকি দিচ্ছিলেন। আর পরে দেখা দেল সেটাই করলেন। তিনি পড়ে যাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং চিকিৎসা শুরু হয়। পরে আইটিইউতে ট্রান্সফার করানো হয়। তাঁকে বাঁচানোর সব রকমের চেষ্টা করা হয়েছিল। নার্স আটকানোর চেষ্টা করেন। তবে তিনি তাঁকে কামড়ানোর চেষ্টা করেন। ফলে নার্স তাঁকে আর ধরে পারেননি। 

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement