একজন তৃণমূলের বিধায়ক এবং অন্যজন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। রাজনৈতিক মঞ্চে তাঁদের রেশারেশি, একে-অপরের প্রতি কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি লেগেই রয়েছে। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে একে-অপরের সঙ্গে দেখা হলে সৌহার্দের খাতিরে কথা বলতে হয় বই কি। সেরকমই সৌহার্দপূর্ণ ছবি পোস্ট করলেন জুন মালিয়া। আর যাঁর সঙ্গে করলেন তিনি আর কেউ নন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
জুনের পাশে হাসিমুখে দিলীপ ঘোষ
সোমবার সন্ধ্যায় জুন মালিয়া তাঁর ইনস্টাগ্রামে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে জুনের পাশে হাসিমুখে বসে রয়েছেন দিলীপ ঘোষ। এই ছবি আচমকা দেখলে তৃণমূল ও বিজেপি দলের কর্মী-সমর্থকদের রাগ হতেই পারে কিন্তু জুন মালিয়া একেবারে ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা থেকেই এই ছবি পোস্ট করেছেন।
আরও পড়ুন: 'দলের ডাকাতগুলোকে ঠিক করুন,' পঞ্চায়েত নিয়ে অভিষেকদের বার্তা দিলীপের
ত্রিপুরা বিমানবন্দরে জুন-দিলীপ ঘোষ
এই ছবি ত্রিপুরা থেকে ফেরার সময় বিমানবন্দরের লাউঞ্জে তোলা হয়েছে। জুন মালিয়া এই ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, 'আমরা রাজনৈতিক যুদ্ধের ময়দানে একে অপরের সাথে লড়াই করতে পারি, অত্যন্ত ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ ভাগ করে নিতে পারি কিন্তু মাঠের বাইরে আমরা একটি ভাল বন্ধুত্ব ভাগ করে নিয়েছি। আজ সন্ধ্যায় বিমানবন্দরের লাউঞ্জে আমাদের একে অপরের সঙ্গে দেখা হয়ে যায় (দুর্ঘটনাজনিত) আমাদের নিজ নিজ ফ্লাইট ধরে ফেরার ঠিক আগে। ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩-এ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ত্রিপুরায় একটি অত্যন্ত কঠিন প্রচারের পরে আমরা বাড়ি ফিরছিলাম ৷ অবশ্যই আমরা একে অপরকে শুভকামনা জানিয়েছি। এটাই হওয়া উচিত। দিলীপ দা আমার লোকসভা সাংসদও।'
আরও পড়ুন: বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি বাবুল সুপ্রিয়, কেমন আছেন?
এর আগেও একাধিক জায়গায় একসঙ্গে গিয়েছেন এঁরা
আসলে এখন প্রেমের সপ্তাহ চলছে তারওপর আগামীকাল ভ্যালেন্টাইন্স ডে। বন্ধুত্বের সম্পর্ক দুই নেতার মধ্যে থাকা কোনও খারাপ বিষয় নয়। রাজনৈতিক ময়দানে লড়াই যত তিক্ত হোক না কেন তার প্রভাব কোনভাবেই যেন ব্যক্তিগত সম্পর্কে না পড়ে। সেটাই প্রমাণ দিলেন জুন মালিয়া। তবে এর আগেও সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে পাশাপাশি বসে থাকতে দেখা গিয়েছে জুন ও দিলীপ ঘোষকে। এমনকী মেদিনীপুর স্টেশনে ফুটওভার ব্রিজ উদ্বোধনের দিলীপ ঘোষ এবং জুন মালিয়া একসঙ্গে ফিতে কাটেন। আসলে এই দুই নেতাই মেদিনীপুরের দুই দলের প্রতিনিধি তাই এঁদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকাটাই স্বাভাবিক। সবকিছুতে রাজনৈতিক রঙ মেশানো জরুরি নয়।