প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের সন্ধ্যাতেই ২০২১ সালের পদ্ম সম্মান প্রাপকের তালিকা প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রকাশ করা এই তালিকায় রয়েছে একাধিক বাঙালি নাম। এবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে পদ্ম সম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে ৭ জনকে। যাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথ। আজও বাঙালি হাঁদা-ভোঁদা, নন্টে-ফন্টে, বাঁটুল দ্য গ্রেটের নস্ট্যালজিয়ায় ডুবে থাকে। যার স্রষ্টা স্বয়ং নারায়ণ দেবনাথ।
একটা সময় বাঙালিদের ছোটবেলা মানেই ছিল হাঁদা-ভোঁদা, নন্টে-ফন্টে কিংবা বাঁটুল দ্য গ্রেটের কাণ্ডকারখানার ডুবে থাকা ৷ বয়স বেড়ে গেলেও আজও নস্ট্যালজিয়ায় সেই কমিকসের পাতায় ডুবে থাকেন অনেকেই ৷ আর তার স্রষ্টা তথা লেখক-চিত্রশিল্পী নারায়ণ দেবনাথকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করছে ভারত সরকার। সোমবার দুপুরেই দিল্লি থেকে তাঁর বাড়িতে ফোন করে এই সুসংবাদ জানানো হয়। ৯৮ বছরের প্রবাদ প্রতীম এই ব্যক্তিত্ব বর্তমানে বার্দ্ধক্য জনিত নানা সমস্যা ভুগছেন। তাই ছবিও বিশেষ আর আঁকা হয়ে ওঠে না। তবে দেরিতে হলেও ভারত সরকার তাঁর গুণের স্বীকৃতি দেওয়ায় খুশি দেবনাথ পরিবার। নারায়ণ দেবনাথ জানিয়েছেন, দেরিতে এই সম্মান পাওয়ায় তাঁর কোনো দুঃখ নেই।যখন যেটা পাবার তখন পাবেন।
গত সাত দশক ধরে বাঙালি পাঠক জগতে পরিচিত নাম নারায়ণ দেবনাথ। তাঁর সৃষ্টি কমিকস বাটুল দি গ্রেট, হাঁদা ভোঁদা নন্টে-ফন্টে আজও আট থেকে আশি বাঙালি পাঠকদের সমান আনন্দ দেয়। এর আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে বঙ্গবিভূষণ পুরস্কারে সম্মানিত করেছিল।
এবছর পদ্মশ্রী পাচ্ছেন ১০২ জন। এঁদের মধ্যে ৭ জন পশ্চিমবঙ্গের। প্রবীণ কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথ ও অর্জুন পুরস্কার জয়ী খেলোয়াড় মৌমা দাস ছাড়া আর যাঁরা বাংলা থেকে পদ্মশ্রী পেয়েছেন তাঁরা হলেন শান্তিপুরের তাঁতশিল্পী বীরেনকুমার বসাক, সাঁওতাল সমাজের গুরুমা কমলি সোরেন। সাহিত্য ও শিক্ষায় অবদানের জন্য ধর্মনারায়ণ বর্মা, সুজিত চট্টোপাধ্যায় ও জগদীশচন্দ্র হালদারকে সম্মান জানাচ্ছে ভারত সরকাক। তা ছাড়া আরও দু’ জন বাঙালি বিদেশি বিভাগে ‘পদ্মশ্রী’ পেয়েছেন। এঁরা দু’ জনেই বাংলাদেশের বাসিন্দা। এঁরা হলেন মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল কাজি সাজ্জাদ আলি জাহির এবং সংগীত বিশেষজ্ঞ সনজিদা খাতুন।
২০২১ সালে ভারত সরকারের পদ্মবিভূষণ পাচ্ছেন ৭ জন। তবে পদ্মশ্রীতে জয়জয়কার হলেও এবার পদ্মবিভূষণ বা পদ্মভূষণ আসছে না বাংলার ঘরে। এদিন বাংলার সম্মান প্রাপকদের তালিকা ট্যুইটারে শেয়ার করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও।