Advertisement

সবই তো চলছে, পুরভোট নয় কেন? হাইকোর্টে সওয়াল রাজ্যের

করোনাকালে পুরভোট স্থগিতের আবেদন করে হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা।

পুরভোট নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা।
তপন কুমার নস্কর
  • কলকাতা,
  • 07 Jan 2022,
  • अपडेटेड 6:45 PM IST
  • করোনাকালে পুরভোট স্থগিতে জনস্বার্থ মামলা।
  • ভোটের পক্ষে সওয়াল রাজ্য ও নির্বাচন কমিশনের।
  • ১১ জানুয়ারি মামলায় রায়দান।

কোভিডের বাড়াবাড়ি হলেও আসন্ন পুরভোট পিছোতে চায় না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার হাইকোর্টে তারা এমনটাই জানাল। করোনা আবহে জানুয়ারি মাসে চার পুরনিগমে ভোটগ্রহণ কি সম্ভব? জানতে চেয়েছিল আদালত। তার প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার বল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কোর্টে ঠেলেছে। তারা জানিয়েছে, এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। দরকারে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সহযোগিতা করতে পারে।         

করোনাকালে পুরভোট স্থগিতের আবেদন করে হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি কেসাং ডোমা ভুটিয়ার ডিভিশন বেঞ্চে এ দিন রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, কোভিড পরিস্থিতিতে সবই তো চালু হয়েছে। ভোট বন্ধ হবে কেন? তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশনই।  

আরও পড়ুন- মমতার পদবি ভুললেন অ্যাঙ্কর! 'PM-এর জন্য এসেছি,' ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী
   
একই সুরে নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র যুক্তি দেন, লোকাল ট্রেন, রেল স্টেশন, হাটে-বাজারে মানুষ ভিড় করছেন। এই পরিস্থিতিতে আমরা কোভিডবিধি মেনে পুরভোটের প্রস্তুতি নিয়েছি। ইতিমধ্যেই নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। মামলার রায়দান ১১ জানুয়ারি।   

ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবি বিরোধীদের

আগামী ২২ জানুয়ারি রাজ্যের চারটি পুরনিগমে ভোটগ্রহণের ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এদিকে, রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতিও ঊর্ধ্বমুখী। মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশর়ঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, ভোটমুখী বিধাননগরের একাধিক এলাকা কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। অন্যনা পুরনিগমগুলিতেও বাড়ছে করোনা আক্রান্ত। এই অবস্থায় ভোটগ্রহণ কী করে সম্ভব? এই মামলাতেই এ দিন রাজ্য সরকার জানিয়ে দিল, তারা ভোট করার পক্ষেই। বিরোধীরা অবশ্য পুরভোট পিছোতে চাইছে। ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছে বিজেপি। বামেরা সর্বদল বৈঠকের আর্জি করেছে।        

Advertisement

বিরোধীদের বক্তব্য, করোনার দোহাই দিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে পুরভোট করায়নি রাজ্য সরকার। আর এখন তারা ভোট করাতে উদ্যোগী। সেই প্রসঙ্গেই দিলীপ বলেন,''পুরভোট ২-৩ বছর পিছোতে পারে। আর একমাস পিছোলে কী এমন সমস্যা হবে! সরকার নিজেই বলছে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। রাস্তায় ৪ জনকে পরীক্ষা করালে ৩ জনের করোনা হবে।''

হাওড়া পুরসভা নিয়ে এ দিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়েছে। এ দিন সরকারি আইনজীবী জানান, ভুল বোঝাবুঝির দরুণ হাওড়া পুরসভা বিল সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যপাল সম্মতি দিয়েছেন বলে আদালতে জানিয়েছিলেন। 

আরও পড়ুন- Covid আক্রান্ত ছাত্রীকে ক্যাম্পাসে ডেকে কাঠগড়ায় রবীন্দ্রভারতী

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement