সব সময় বকাবকি নয়। ছোটদের মধ্যে নানা কারণে মিথ্যে বলার অভ্যাস গড়ে ওঠে। এর জন্য তাদের কল্পনাপ্রবণ মন এবং বকুনি খাবার ভয় কাজ করে বেশির ভাগ সময়। তাহলে কী ভাবে বোঝাবেন ওদের? আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক...
সন্তানের মিথ্যে 'ধরা' পড়ে গেলেও মারধর বা বকাবকি না করে ঠাণ্ডা মাথায় তাকে বোঝনো জরুরি। যে সব শিশু কল্পনাপ্রবণ, তাদের মিথ্যেগুলোকে মজার গল্প বলে প্রশংসা করুন। গল্পের ছলে সন্তানকে ঠিক-ভুলের শিক্ষা দিন।
শিশুরা যা দেখে, তা-ই শেখে। তাই আগে নিজেকে সংযত রেখে সংশোধন করা জরুরি।
মনোবিদদের মতে, সন্তানের মিথ্যে কথা বলার প্রবণতা বা তার কারণ খুঁটিয়ে বিশ্লেষণ করা উচিৎ। কোন শিশু কেন মিথ্যে বলছে সেটা আগে বোঝা জরুরি। কারণে-অকারণে মিথ্যে বলার প্রবণতা কিন্তু বড় কোনও ‘বিহেভিয়াল প্রবলেম’-এর ইঙ্গিত হতে পারে।
মনোবিদদের মতে, ছয় বছর বয়সের পরই শিশুদের মধ্যে ‘সুপার ইগো’র বিকাশ ঘটে। এর ফলে কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল, সে বুঝে উঠতে শেখে। এই সময় গল্পের ছলে সন্তানকে নীতিকথামূলক গল্প শোনান।
সন্তানকে সত্যি কথা বলার শিক্ষা অবশ্যই দেবেন। তবে একটু বড় হলে, তাকে মতামত দেওয়ার ক্ষেত্রে যে বিচক্ষণ বিবেচনা ও পর্যবেক্ষণ জরুরি, তা সন্তানকে বুঝিয়ে দেওয়া ভাল।