অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং আবারও সংবাদ শিরোনামে। চিন ও ভারতীয় সেনার সংঘর্ষ ঘিরে আলোচনায়। ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত বিরোধের কারণে তাওয়াংয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সামরিক যান বেশি চলাচল করছে। তবে তাওয়াং তার অতুলনীয় সৌন্দর্য এবং বৌদ্ধ মঠের জন্য বিখ্যাত। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, তুষারময় পাহাড় এবং সবুজ উপত্যকা পর্যটকদের মুগ্ধ করে। এশিয়ার বৃহত্তম মঠ তাওয়াংও এখানে। শহরটি বৌদ্ধমঠের জন্য সারা বিশ্বে পরিচিত।
তাওয়াং মঠ, অরুণাচল প্রদেশের প্রধান আকর্ষণগুলির একটি। এটি গোল্ডেন নামগিয়াল লাসে নামেও পরিচিত। এই মঠটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩,০০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। ভারতের বৃহত্তম এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মঠের মর্যাদা পেয়েছে এটি। প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো যা ৩০০টিরও বেশি বৌদ্ধভিক্ষুদের আশ্রয়স্থল হিসাবে পরিচিত।
তাওয়াংয়ের হ্রদ এই শহরের সৌন্দর্যকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এখানে রয়েছে অনেক হ্রদ। যেম- নাগুলা লেক, সেলা পাস, মাধুরী লেক, পাংতেং সো লেক, হার্ট লেক, বঙ্গ জং লেক, যা পর্যটকদের কাছে খুব জনপ্রিয়।
তাওয়াং-এর নদী ও জলপ্রপাতও পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এখানে প্রায়শই খুব শান্ত এবং সুন্দর নদীর কাছে পিকনিক করতে আসেন পর্যটকেরা।
তাওয়াং ভ্রমণের সর্বোত্তম সময় হল মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর, কারণ এই স্থানটি গ্রীষ্ম এবং বর্ষায় ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত। তবে যদি তুষারপাত এবং পাহাড় উপভোগ করতে চান তবে শীতের মরশুমে এখানে যাওয়া উচিত। যদিও শীতকালে এখানকার তাপমাত্রা এক থেকে তিন ডিগ্রির কাছাকাছি থাকে।
তাওয়াং একটি পাহাড়ি এলাকা। এখানে কোনও বিমানবন্দর বা রেলস্টেশন নেই। নিকটতম বিমানবন্দরটি অসমের তেজপুরে, যা তাওয়াং থেকে প্রায় ৩১৭ কিলোমিটার দূরে। তেজপুর থেকে তাওয়াং যেতে পারেন। তবে, দেশের অন্যান্য অংশ থেকে তাওয়াং পৌঁছানোর জন্য, গুয়াহাটি বিমানবন্দর হয়ে যাওয়া যায়, যা তাওয়াং থেকে প্রায় ৪৮০ কিলোমিটার দূরে। সড়কপথেই এখান থেকে তাওয়াং যাওয়া যায়।
তাওয়াং পৌঁছানোর সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সহজ উপায় হল সড়কপথ। বাস বা ক্যাব ভাড়া করেও তাওয়াং পৌঁছাতে পারেন। তাওয়াং-এ কোনও রেলওয়ে স্টেশন নেই। এর নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন অসমের রাঙ্গাপাড়া। রাঙ্গাপাড়া থেকে তাওয়াংয়ের দূরত্ব প্রায় ৩৮৩ কিলোমিটার। তাই রাঙ্গাপাড়া রেলস্টেশন থেকে ক্যাব বা বাসে করেই এই জায়গায় পৌঁছতে পারবেন।