ঠাণ্ডায় লেপের নীচ থেকে বেরোনো সত্যিই কষ্টকর। তবে, সাধের লেপের উষ্ণতার চেয়েও বেশী আকর্ষণীয় উষ্ণতা হতেই পারে যৌন উষ্ণতা। আর তার থেকে মন ফেরানো কঠিন!
অনেকেই ভেবে থাকেন , শীতকালের আলস্যে যৌন সঙ্গম সেভাবে আকর্ষণীয় হয় না। তবে সত্যিটা হল, শীতকালই হল এই উষ্ণতাকে পরতে পরতে উপভোগ করার সেরা সময়।
শীতকালে যেমন ঘুরে আনন্দ, খেয়ে আনন্দ। তেমনই সেক্স করেও আনন্দই আনন্দ। এ ছাড়া, সেক্স করতে শীতের সময়টাকেই আদর্শ বলে মনে করা হয় এ দেশে।
শীত এলেই ট্রাঙ্ক থেকে একে একে বেরোতে থাকে লেপ, বালাপোশ, কম্বল। সেই নরমগরম ব্যাপারটা যৌনতাকেও আরও বেশি মুচমুচে করে তোলে।
শীতে শরীরকে গরম করতেও সেক্স দারুণ এক্সারসাইজ। কনকনে হাড়হিম অনুভূতি থেকে রেহাই মেলে। আড়ষ্টতা কাটিয়ে শরীরকে করে তোলে ঝরঝরে।
গবেষকদের মতে, কোনও দম্পতি যদি পরস্পরের চোখের দিকে তাকিয়ে মিনিট দশেক সময় কাটান এবং তার পর মিলিত হন, তা হলে ফল হয় মারাত্মক! সেক্সোলজিস্টরাও বলেন, যে সব দম্পতি যাঁরা শরীরী সম্পর্ক চলাকালীন পরস্পরের থেকে দৃষ্টি সরান না, তাঁরা দারুণ তৃপ্তি পান।
খাবারের সঙ্গে যৌনতার যোগ ঘনিষ্ঠ। তাই দু’টোকে এক করে দেখলেও দারুণ ফল পাবেন। চকোলেট, আইসক্রিম, স্ট্রবেরি বা চেরির মতো ফল যা আপনার যৌনতার স্বাদকে আরও বেশি উষ্ণ করে তুলবে।
যৌনতার ক্ষেত্রে নারী শরীরের পদযুগলের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আর শীতে পায়ের তলা সবার আগে ঠান্ডা হয়। তাই রাতে শোয়ার আগে আপনি আর সঙ্গী দু’জনেই মোজা পরে নেবেন। পায়ের উষ্ণতায় ঠান্ডা কম লাগবে।
মিলনের আগে গরম কফি কিংবা চা খেয়ে নেবেন। অনুভূতি তাহলে আরামদায়ক হবে। যৌনমিলনের আগে সুগন্ধী চাও পান করতে পারেন। এতে আপনার শরীরে যেমন উষ্ণতা তৈরি হবে। তেমনই আপনার উষ্ণ ঠোঁটের আলতো ছোঁয়াতেই সঙ্গীর কামোত্তেজনা কয়েকগুন বাড়িয়ে দেবে।
ইষদুষ্ণ তেলের মালিশ। এর একাধিক লাভ আছে। শরীরের শুষ্কভাব দূর হয়ে কোমলতা আসবে, এই সুযোগে ফোর প্লেও সেরে নিতে পারবেন।