শুরু হয়ে গেছে বড়দিনের কাউন্টডাউন। ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে শহরগুলি সেজে উঠেছে শুরু করেছে। কোভিড ও ওমিক্রন আতঙ্ক আনন্দে কিছুটা ভাটা ফেলেছে সকলের নিঃসন্দেহে। খ্রীসমাস প্ল্যান কাট-ছাটও করতে হচ্ছে কিছুটা।
তবে, বড়দিন, আর সেলিব্রেশন হবে না, তা কখনও হয়? এই উৎসবে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই সামিল হন। ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই একটা ফেস্টিভ মুড চলে আসে। সেজে ওঠে বাড়ি থেকে অফিস সবই।
তবে কর্মব্যস্ততার মাঝে অনেক সময় খেয়াল থাকে না, বড়দিনের প্রস্তুতির কথা। তাদের জন্যে রইল বড়দিনের প্রস্তুতির চেক লিস্ট।
খ্রীসমাস ট্রি
বড়দিনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল খ্রীসমাস ট্রি। বাড়িতে না থাকলে, সময় থাকতেই কিনে ফেলুন এটি। গাছের মাপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্টার, ড্রাম, বল, লাঠি, লজেন্স, রিবন ইত্যাদি দিয়ে গাছ সাজিয়ে ফেলুন।
আলো
বড়দিন মানেই আলো ঝলমলে পরিবেশ। বাড়িতে ভিন্ন ধরনের আলো দিয়ে সাজান। এতে আপনার যেমন মন ভাল থাকবে, সঙ্গে আনন্দ পাবে পরিবারে থাকা শিশুটি। খ্রীসমাস ট্রি -ও মুড়ে দিন আলোতে।
কেক
বড়দিনের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ জনিস হল কেক। ইতিমধ্যে দোকানে পাওয়া যাচ্ছে রকমারি কেক। আর যাদের হোমমেড কেক রয়েছে পছন্দের তালিকায়, তারা বেকিংয়ের সমস্ত উপকরণ আছে কিনা আরও একবার মিলিয়ে নিন।
মোম
বৈদুত্যিন আলো ছাড়াও রকমারি ও সুগন্ধি মোম দিয়ে সাজাতে পারেন আপনার বাড়ির বিভিন্ন কর্নার। এটে যেমন দেখতে সুন্দর লাগবে, সে রকম ঘরে থাকবে পজিটিভিটি।
উপহার
যুগ যুগ ধরে বড়দিনের ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে আছে উপহার প্রথা। পরিজন ও পরিবারের জন্যে শেষ মুহূর্তে কিনে ফেলুন মন পসন্দ উপহার। যদি কাউকে উপহার পাঠাতে চান, সেটাও সেই কাজও সেরে ফেলুন শীঘ্রই। কারণ হাতে খুব কম সময় বাকি।
ক্যান্ডি বা চকোলেট
শুধু শিশু না,ক্যান্ডি বা চকোলেট বড়রাও পছন্দ করেন। তাই ক্যান্ডি ও চকোলেট মজুত রাখুন বাড়িতে। এতে সকলে থাকবে আরও হ্যাপি মুডে।
খাওয়া -দাওয়া
যে কোনও উৎসব মানেই খাওয়া দাওয়া। তাই বাড়িতে কোনও ডিশগুলি তৈরি করবেন, তার জন্য কী প্রস্তুতি লাগবে দেখে নিন। আর যদিও বাইরে থেকে খাবার আনাতে হয়, তাও ভেবে নিন।
ডেসার্ট
যে কোনও উৎসবে মিষ্টি মুখ মাস্ট। বড়দিনে আত্মীয় ও বন্ধু- বান্ধবেরা বাড়িতে আসেন। তাই প্রস্তুত রাখুন রকমারি ডেসার্ট। এক্ষেত্রে বাজারজাত খাবার না খেয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন সুস্বাদু মিষ্টি।