সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে জল পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তা আমরা অনেকেই জানি।
তবে কেবল জল নয় অনেকেই ঘুম থেকে ওঠার পর নিয়ম করে ভেজানো বাদাম (almond) খেয়ে থাকেন। জানেন কি এই শুকনো ফলটি একাধিক গুণে সমৃদ্ধ। সারাদিনের দৌড়ঝাঁপের শক্তির জোগান দেয় আমন্ড। শুধু তাই নয় ডায়াবেটিল রোগীদের জন্য ভেজানো বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।
ব্রেকফাস্টে আমন্ড ও কিশমিশ রাখুন। রোজ ব্রেকফাস্টের সময়ে দুটো করে আমন্ড ও কিশমিশ ত্বক ও চুলের পক্ষে ভাল।
সকালে ভেজানো আমন্ড ও কিশমিশ খেলে দিনভর এনার্জেটিক থাকা যায়৷ পাশাপাশি সারা দিন সল্টি ও অয়েলি খাবারের প্রতি লোভও সংবরণ করা যায়৷
কেন খাওয়া উচিত আমন্ড বাদাম
দিনের শুরুটা আমন্ড বাদাম দিয়ে করা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে আমন্ড বাদামের পুষ্টি যাতে ঠিকমত আমাদের শরীরে পৌঁছায় তার জন্য আমন্ডের খোসা ছাড়িয়ে রাতেই জলে ভিজিয়ে রাখুন। আমন্ডে রয়েছে পুষ্টি ও প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ই। এই উপাদানগুলির ত্বক ও স্বাস্থ্য ভাল রাখতে অত্যন্ত আবশ্যক। এমনকি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে বেশ কার্যকরী আমন্ড বাদাম।
কেন খাওয়া উচিত কিশমিশ
আমন্ড বাদামের পাশাপাশি আপনি কিশমিশও রাতে জলে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খেতে পারেন। গাট হেলথ ও হজম প্রক্রিয়া সুষ্ঠু রাখে কিশমিশ। চুল পড়াও কম করে। এছাড়া এতে প্রচুর পরিমানে আয়রন ও ভিটামিন বি-ও আছে। নিয়মিত কিশমিশ খেলে আমাদের শরীরে আয়রন ও ভিটামিন বি-র মত জরুরী উপাদানগুলি সহজে পৌঁছায়।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে সব মানুষ আমন্ড বাদাম খান তাদের ওজন তাড়াতাড়ি কম হয়। অর্থাৎ ওজন কমাতে চাইলে আমন্ডের জুড়ি নেই। পাশাপাশি ভেজানো আমন্ড ও কিশমিশ সকালে খেলে ঋতুস্রাবের সময় তলপেটের পেশির টান বা ক্র্যাম্প থেকে রেহাই পাওয়া যায়৷ পরিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে আমন্ড ও কিশমিশ৷
হজম শক্তি উন্নত করে- অনেকেই কাঁচা বাদাম খেতে ভালোবাসেন। কিন্তু তা না-করে ভেজানো বাদাম খেলে হজম শক্তি উন্নত হয়। বাদাম ও কিশমিশ খাবারের মধ্যে উপস্থিত নানান পুষ্টিকর উপাদান শোষণ করতে সাহায্য করে। এগুলি এমন এক উৎসেচক উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করে, যার ফলে হজম শক্তি উন্নত হয়।
ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী
ভিটামিন ই-র উল্লেখযোগ্য উৎস বাদাম ও কিশমিশ। ভিটামিন ই ত্বক ও চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এগুলিতে উপস্থিত ভিটামিন ই ত্বককে কোমল করে তোলে। ত্বকের জন্য অত্যধিক উপযুক্ত। এমনকি চুল ঝরা কমাতেও সাহায্য করে থাকে।
মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য উপযোগী
একাধিক সমীক্ষায় প্রমাণিত যে, বাদাম ও কিশমিশ খেলে মস্তিষ্কের বিকাশ হয়। এর ফলে স্মৃতি শক্তি বাড়ে। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের ভেজানো বাদাম ও কিশমিশ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে
খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। বাদাম এই খারাপ কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল-এর স্তর বৃদ্ধি করে। এর ফলে হৃদয় সুস্থ থাকে। ভেজানো বাদাম ও কিশমিশ আবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপযোগী।