উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে শীত বাড়তে শুরু করে দিয়েছে। উত্তুরে হাওয়ার দাপটে হু হু করে নামছে তাপমাত্রার পারদ।
দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াংয়ে মনোরম আবহাওয়া। ঝকঝকে পরিষ্কার আকাশে প্রায় প্রতিদিনই উঁকি দিচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে দার্জিলিঙে।
অন্যদিকে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদহেও জাঁকিয়ে শীত পড়তে শুরু করেছে। ঠান্ডা পড়েছে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও।
আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। পরিষ্কার আকাশ থাকায় শীত অনুভূত হচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই শীতের প্রভাব বাড়বে।
ডিসেম্বরের শেষদিকে রাজ্যের উত্তর দিকে অর্থাৎ দার্জিলিং-সিকিমে তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তা জেনে উৎসাহিত রাজ্য়বাসী।
হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু-কাশ্মীরের বেশ কিছু অংশে তুষারপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার জের পড়তে পারে এ রাজ্য ও লাগোয়া সিকিমের পাহাড়েও।
গত কয়েকদিন ধরে দক্ষিণবঙ্গে দ্রুত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও তার আঁচ পড়েনি উত্তরবঙ্গে। উত্তরের জেলাগুলিতে শীতের আমেজ বজায় ছিল।
দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে ইতিমধ্যেই জাঁকিয়ে শীত পড়ে গিয়েছে। সেখানে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে ঘোরাফেরা করছে তাপমাত্রা।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে,মোটামুটি আগামী সপ্তাহ থেকেই পাকাপাকি ও জাঁকিয়ে শীত পড়তে চলেছে। সেই সঙ্গে তুষারপাত হতে পারে।
ইতিমধ্যেই কয়েক দফায় বিক্ষিপ্ত তুষারপাত হয়েছে উত্তর সিকিমের লাচুং, লাচেন, গুরুডোংমার সহ একাধিক এলাকায়। যদিও এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যের দার্জিলিং সহ সান্দাকফু, ফালুটে তুষারপাত হয়নি।
তবে বড়দিনের আশপাশে তুষারপাত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। আর এই পূর্বাভাস সামনে আসতেই পাহাড়ের হোটেল, কটেজ বুকিংয়ের ঢল শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন টুরিজম অপারেটরসরা।