বর্তমানের চূড়ান্ত কর্মব্যস্ত জীবনে তৃপ্তিদায়ক যৌনতার সুযোগ মেলে কালে-ভদ্রে! প্রচণ্ড শারীরিক ধকল বা মানসিক চাপে ভাটা পড়ে যৌনজীবনে। ঘরে-বাইরের প্রচণ্ড মানসিক ও শারীরিক ধকলে যৌনতার সাধ থাকসলেও, তখন আর তা সাধ্যে কুলোয় না! কাজের চাপে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়া অতৃপ্ত যৌনজীবন, যথাযথ যৌন পরিতৃপ্তির অভাবই একাধিক সম্পর্ককে ঠেলে দেয় বিবাহ বিচ্ছেদের দিকে।
দুর্বল যৌনজীবন, যৌনতায় অক্ষমতার জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দায়ী অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান বা ধূমপানের অভ্যাস, অতিরিক্ত ওজন এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। এর পাশাপাশি অনেক সময় এই সমস্যা থাইরয়েড বা ডায়াবেটিসের কারণেও হতে পারে।
রিডার্স ডায়জেস্ট-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্বাভাবিক, সুস্থ যৌন সম্পর্কের ফলে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়, মেদ কমে। সুস্থ যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে সঙ্গমের স্ফুর্তি ও তৃপ্তিরও প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু জানেন কি, স্ফুর্তি আর তৃপ্তির বিচারে দিনের কোন সময়টি সঙ্গমের জন্য সবচেয়ে ভাল?
হরমোন বিশেষজ্ঞদের মতে, স্ফুর্তি আর তৃপ্তির বিচারে দুপুর ৩টে নাগাদ সময়টাই হল সঙ্গমের জন্য সবচেয়ে ভাল সময়! বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনের বিভিন্ন সময়ে শরীরে হরমোনের মাত্রা বাড়ে-কমে।
হরমোন বিশেষজ্ঞ, WomanCode বইয়ের লেখিকা এলিসা ভিটির (Alisa Vitti) মতে, দুপুর ৩টে নাগাদ মেয়েদের শরীরের কর্টিসল হরমোনের পরিমাণ সর্বাধিক থাকে। এর ফলে মেয়েদের শারীরিক স্ফুর্তি ও মনোযোগ বেশি থাকে। ফলে সঙ্গমের ক্ষেত্রে এই সময়টায় মেয়েদের সবচেয়ে বেশি যোগদান ও উৎসাহ থাকে।
পাশাপাশি, দুপুর ৩টে নাগাদ বা দিনের এই সময়টায় পুরুষের শরীরেও ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা সর্বাধিক থাকে। ফলে তাঁরাও সঙ্গমের ক্ষেত্রে সঙ্গীর চাহিদা ও অনুভূতি অনুযায়ী উদ্দাম স্ফুর্তিতে যোগদান করতে পারেন। ফলে দিনের এই সময়টায় দু’জনেই শারীরিক সঙ্গমের সেরা স্বাদ পান।
এলিসার মতে, পরিতৃপ্ত সঙ্গমের ক্ষেত্রে আরেকটি ভাল সময় হল সকালবেলা। তাঁর মতে, এই সময়টায় বা ভোরের দিকে ঘুমের মধ্যে পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে এই সময়টাতেও পুরুষের শরীরে সঙ্গমের আগ্রহ এবং স্ফুর্তি— দুটোই বেশি থাকে। যার প্রভাব পড়ে শারীরিক সম্পর্কে।