বেলফুলের গন্ধ কার না ভাল লাগে? এই ফুলের সৌন্দর্য সবাই দারুণ ভালবাসে। আর সেই কারণেই অনেকে টবেই বড় করা যায় এই গাছ। ফুলে ভরিয়ে তোলা যায় সহজেই।
এই ফুলগাছের পরিচর্যা খুব কঠিন নয়। তবে বাড়তি ফুল পেতে হলে, একটু বেশি যত্ন তো করতেই হবে। তা ছাড়া বর্ষাকালের স্যাঁতসেতে আবহাওয়ায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
ফলে এই মরসুমে গাছের প্রতি বিশেষ নজর না দিলে, পোকার আক্রমণ বাড়বে। কী ভাবে বর্ষায় গাছের যত্ন নিলে ফুলও ফুটবে প্রচুর আবার গাছও ভাল থাকবে? সেটাই জানা দরকার
কয়েকদিন ধরেই বাপক বৃষ্টি হয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। তবে বেল ফুল গাছের ক্ষেত্রে গোড়ায় জল জমলে সমস্যা হতে পারে। তাই টবের মাটির জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভাল না হলে মাটিতে জল বসে যেতে পারে।
তাতেই গাছের গোড়া পচে যেতে পারে। আবার স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে পোকামাকড়ের সংক্রমণের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। ফলে টবের মাটি খুঁড়ে আলগা করে দিতে হবে। গাছের গোড়ায় যেন জল না জমে দেখা দরকার।
গাছে বেশি ফুল পাওয়ার অন্যতম শর্তই ডালপালা নিয়মিত হাঁটা। তবে তা অবশ্যই সঠিক নিয়ম মেনে হেঁটে গাছটিকে যেমন ঠিকমতো আকার দিতে হবে।
এতেই নতুন শাখা-প্রশাখা তৈরি হওয়ার পথ প্রশস্ত হয়। ফুটে যাওয়া ফুল শুকিয়ে গেল, সেই শাখা বা প্রশাখাটির আগার খানিকটা অংশ হেঁটে দেওয়া দরকার। শুকনো কাণ্ড, হলদে হয়ে যাওয়া পাতাও বাদ দিলে গাছের বৃদ্ধি ভাল হবে।
বর্ষায় পোকার আক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকো পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচতে নিম তেল স্প্রে করা যায়। বাজার চলতি কীটনাশকও দিতে পারেন এতে। তরল সাবান জলে গুলে স্প্রে করলেও কাজ হতে পারে। তবে যেন সাবান এবং জলের অনুপাত ঠিক থাকে।
গাছের বৃদ্ধির জন্য সারের প্রয়োজন। মাসে একবার পরিমিত সার প্রয়োগ যথেষ্ট। পাতা পচা, গোবার বা যে কোনও জৈব সারই দেওয়া যায়। তার আগে গাছের গোড়া খুঁড়ে দেওয়া দরকার। আগাছাও পরিষ্কার করে নেওয়া জরুরি।
সূর্যালোক এই গাছের জন্য জরুরি। সে কারণে দেখা দরকার, বর্ষার দিনেও যেন এই গাছ সরাসরি রোদ পায়। তবেই বাড়বে ফুল।