গরমের পারদ ক্রমশ চড়ছে। সবে জৈষ্ঠ্য মাস চলছে। ভাদ্র মাসের শেষ পর্যন্ত এই গরম কাল থাকবে। এই সময় সুস্থ থাকা বড় বিষয়। গরমের সময় পেটের গোলযোগ, বমি ভাবের মতো সমস্যায় ভুক্তভোগী থাকেন অনেকেই। কিন্তু কীভাবে এ থেকে চটজলদি আরাম পাবেন, তা জানা নেই অনেকেরই।
ঘরে থাকা সাধারণ কয়েকটি জিনিসেই আমরা সমস্য়া সমাধান করে ফেলতে পারি খুব চট জলদি, আসুন দেখে নিই, কীভাবে কী খেলে সমস্য়া মিটতে পারে সহজে।
আমরা সকলেই চা খাই। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চা আপনার কাজে লাগতে পারে। এই কয়টি উপাদান মিশিয়ে চা পানে মিলবে উপকার। দূর হবে বদহজম সংক্রান্ত সমস্যা। জেনে নিন কোন কোন চা খেলে সমস্য়া কমবে।
লবঙ্গ চা (Clove Tea)
লবঙ্গ মিশিয়ে চা তৈরি করুন। যারা প্রায়শই বদহজমের সমস্যায় ভোগেন তারা লবঙ্গ দিয়ে চা তৈরি করুন। চা তৈরির সময় তাতে দুটো লবঙ্গ ফেলে দিন। ফুটে গেলে ছেকে নিন। এতে মিলবে উপকার।
দারচিনির তৈরি চা (Cinamon Tea)
খেলে হজমের সমস্যা দূর হবে। এতে অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান আছে। লিকার চা তৈরির সময় এতে এক টুকরো দারুচিনি ফেলে দিন।
আদা চা (Ginger Tea)
নিয়মিত আদা খেলে দূর হবে হজম সমস্যা। চা তৈরির সময় আদার টুকরো দিন। আদার গুণে দূর হবে হজমের গোলযোগ। তেমনই আদা খেলে সর্দি কাশির মতো সমস্যা দূর হয়। স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে চাইলে নিয়ম করে আদা চা খান। হজমের সমস্যা দূর হবে।
তুলসি চা (Basil Tea)
হজমের সমস্যা দূর করতে তুলসি চা খেতে পারেন। ভিটামিন ও মিনারেল আছে তুলসী চা-তে। চা তৈরির সময় কয়টি তুলসী পাতা দিয়ে দিন। এতে মিলবে উপকার।
জল খান প্রচুর পরিমাণে (Drink Water)
হজমের সমস্যা দূর করতে চাইলে সারা দিনে প্রচুর জল পান করুন। গোটা দিনে অবশ্যই ৭ থেকে ৮ গ্লাস জল পান করুন। এই সময় শরীরে জলের অভাব হয়। এর কারণে দেখা দিতে শুরু করে নানান জটিলতা। সুস্থ থাকতে জল পান করুন।
কফি নয় (No Coffee)
যতটা পারবেন কম খান ক্যাফেইন। ক্লান্তি দূর করতে অনেকেই বারে বারে কফি খেয়ে থাকেন। এর কারণে বাড়ে শারীরিক জটিলতা। গরমের সময় যতটা পারবেন কম পরিমাণে ক্যাফেইন গ্রহণ করুন। অধিক ক্যাফেইন শরীরের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। হজমের সমস্যা ও বমির সমস্যা হয় এর থেকে।
তৈলাক্ত ও ভাজা খাবার নয় (Oily And Junk Food No)
এই ধরনের খাবার সহজে হজম হয় না। যে কারণে পেটের সমস্যা হতে পারে। এরই সঙ্গে এমন খাবার থেকে দেখা দেয় বমি ভাব। মেনে চলুন এই টিপস। গরমের সময় তৈলাক্ত ও ভাজা খাবার যতটা পারবেন কম খান। এতে মিলবে উপকার। শরীর থাকবে সুস্থ।