গুড় আখ কিংবা খেজুরের রস থেকে তৈরি করা এক প্রকারের মিষ্টদ্রব্য। তালের রস থেকেও গুড় তৈরি করা হয়। আখ, খেজুর এবং তাল গাছের রস ঘন করে পাক দিয়ে গুড় তৈরি করা হয়।
বিভিন্ন ধরণের গুড় পাওয়া যায় বাজারে। ঝোলা গুড়, ভেলি গুড়, চিটে গুড়, নলেন গুড় (খেজুর গুড়), পাটালী গুড় (জমাট বাঁধা), হাজারী গুড় (সাদা খেজুর গুড়) সহজলভ্য।
গুড়, চিনির চেয়ে বহুগুণ ভাল। এটি আপনার শরীরে শুধু ক্যালোরি যোগ করে না, এছাড়াও এর আরও একাধিক উপকারিতাও রয়েছে।
গুড়ের মধ্যে রয়েছে শরীর পরিষ্কার করার ক্ষমতা। এছাড়াও এটি হজমে সহায়তা করে এবং শরীরে ভাল পরিমাণে খনিজ সরবরাহ করে। আসুন জানা যাক, গুড়ের আরও কিছু উপকারিতা।
এটি হজমে সহায়তা করে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। এটি আমাদের শরীরের হজম এনজাইমগুলিকে সক্রিয় করে। গুড়, খাবারের সঠিক পরিপাকে সাহায্য করে। একারণে অনেকেই খাবারের পর গুড় খেতে পছন্দ করেন।
এটি একটি ডিটক্স হিসাবে কাজ করে, কারণ এটি শরীর থেকে বাজে টক্সিন বের করে দিয়ে লিভারকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
গুড় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, জিঙ্ক ও সেলেনিয়ামের মতো খনিজ পদার্থে ভরপুর। যা, ফ্রি-র্যাডিক্যাল প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এটি সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, তাই শক্তিশালী অনাক্রম্যতা তৈরি করে।
প্রতিদিন এক টুকরো গুড় খাওয়া মহিলাদের পিএমএস উপসর্গ- যেমন মেজাজের পরিবর্তন, পিরিয়ড ক্র্যাম্প এবং পেটে ব্যথার সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে।
গুড় একটি প্রাকৃতিক মিষ্টি হিসেবে কাজ করে এবং দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি প্রদান করে। এমনকি কারখানায় তৈরি মধুকে অস্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়, কারণ এতে পুষ্টিগুণ কম থাকে।
তবে পরিমিত পরিমাণে গুড় খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ এতে ক্যালোরির পরিমাণ সামান্য বেশি। গুড়ে ৪ কিলোক্যালরি/গ্রাম পর্যন্ত থাকে। যারা ডায়াবেটিক বা ওজন কমানোর ডায়েট অনুসরণ করছেন, তাদের কম মাত্রায় গুড় খাওয়া উচিত। কারণ এটি ওজন বৃদ্ধি এবং রক্তে শর্করার মাত্রায় ওঠানামা করতে পারে।