'প্রোটিন'-র কথা শুনলেই সাধারণত মুরগীর মাংস, মাছ,দই, মটরশুটি, ডিম, দুধ, বাদাম, পনির এবং দুধের মতো জিনিসগুলির কথা মনে হয়। প্রোটিনের এই তালিকায় অনেকেই ফলকে গণ্য করে না কারণ ফল, প্রোটিনের প্রধান উৎস হিসাবে বিবেচিত হয় না। তবে খুব কম লোকই জানেন যে কয়েকটি ফলের মধ্যে অল্প পরিমাণে প্রোটিনও পাওয়া যায়। আপনি আরও বেশি প্রোটিন নিতে, আপনার প্রোটিনযুক্ত খাবারের সঙ্গে এই ফলগুলিও খেতে পারেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
পেয়ারা- ১/২ কাপ পেয়ারাতে ২.১১ গ্রাম প্রোটিন থাকে। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। আরও প্রোটিনের জন্য আপনি প্রোটিন পাউডার, দই বা পনির দিয়ে পেয়ারা স্মুদিও তৈরি করতে পারেন।
অ্যাভোকাডো- অ্যাভোকাডোকে সুপার ফুডও বলা হয়। এক কাপ কাটা অ্যাভোকাডোতে ৩ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। একই পরিমাণ অ্যাভোকাডোতে ১০ গ্রাম ফাইবারও পাওয়া যায়।
এপ্রিকট বা খোবানি- এপ্রিকটে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম এবং ভিটামিন এ রয়েছে। এপ্রিকট ভিটামিন সি এর একটি ভাল উৎস। চিকেনের কোনো রেসিপি সহ এপ্রিকট খেলে, সেটি ভালো পরিমাণে প্রোটিন সরবরাহ করতে পারে।
শুকনো চেরি - ১/৮ কাপ শুকনো চেরিতে ১ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। ২০১৮ সালে পরিচালিত একটি সমীক্ষাতে দেখা গেছে যে চেরি, প্রদাহ এবং বাত কমাতে খুব সহায়ক। এছাড়া চেরি খাওয়ার ফলে ভালো ঘুমও হয়। চেরির রস মাংসপেশীর ব্যথা থেকেও মুক্তি দেয়।
কিসমিস- আধ কাপ সোনালি রঙয়ের কিসমিসে ১.৩৩ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ফাইবার এবং পটাসিয়াম। এটি জাঙ্ক ফুডের লোভ রোধে সহায়ক।
কাঁঠাল- আধা কাপ কাঁঠালের মধ্যে ১.৪২ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। কাঁঠালের খুব ভাল পরিমাণে ভিটামিন বি ৬ পাওয়া যায়, যা ভাল বিপাকের জন্য প্রয়োজনীয়। যদিও কাঁঠাল দেখতে মাংসের সঙ্গে সাদৃশ্যযুক্ত তবে এতে মাংসের মতো প্রোটিন নেই।
কিউই - এক কাপ কাটা কিউইতে ২.০৫গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। ফলের স্যালাডে কিউই থাকলে, তা প্রোটিন সরবরাহ করে। তবে সেটি একটি অর্ধ-কাটা কিউই বা এক চামচ পরিমাণে যতটা প্রোটিন থাকে,সেটার মতো হয় না।
শুকনো আলুবোখরা - ১/৪ কাপ শুকনো আলুবোখরাতে ০.৯৯ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। এটি খাওয়ার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন, অন্যথা আপনার অতিরিক্ত পরিমাণে পেট খারাপ হতে পারে।