তিলের নাড়ু খেতে কে না পছন্দ করেনা। চিলি বা হানি চিকেনে অল্প তিলের ব্যবহার রান্নায় আলাদা স্বাদ এনে দেয়। বার্গারের ব্রেডে হালকা তিল পেলে তো মজাই আলাদা। তিলের স্বাদ সত্যিই অতুলনীয়। তিলের ব্যবহার দৈনন্দিন খাবারে খুব কম হয়। কিন্তু জানেন কি এই তিলের গুনাগুন কত? স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী তিল। তিল বীজ হোক এ তিলের তেল। আসুন জেনে নেওয়া যাক, তিলের উপকারিতা।
উচ্চ রক্তচাপ কমায়
তিলের বীজে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে। ম্যাগনেসিয়াম কার্ডিওভাসকুলার ফাংশন উন্নতি করতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু তিল খাবেন কীভাবে ? তস্যালাড বা পাউরুটি টোস্টে টপিং হিসাবে তিল ব্যবহার করতে পারেন। গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে তিল।
তিলের বীজে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার
তিলের বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমশক্তি মারাত্মকভাবে উন্নতি করতে পারে। অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াগুলিকে ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। ফলমূল এবং শাকসব্জির সঙ্গে তিল মিশিয়ে খেলে আপনার হজম সিস্টেমকে সঠিক কার্যক্ষমতায় রাখবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে
কম ম্যাগনেসিয়াম ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। তিলের বীজে কয়েক টন ম্যাগনেসিয়াম থাকে। তিল খাওয়া রক্তে শর্করাকে হ্রাস করতে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
চুল, ত্বক সুন্দর রাখে তিল
তিলের বীজে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। এটি কোলাজেন গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, টিস্যু, চুল এবং ত্বককে শক্তিশালী করে। যদি আপনি ব্রণর সমস্যায় ভোগেন তবে তিলের বীজ খেলে উপকার পাবেন। আপনার ত্বক এবং চুল চকচকে রাখতে তিল খান।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
তিলের বীজ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। তিলের বীজের মধ্যে উচ্চ মাত্রায় ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধেও কাজ করে। তিলের বীজ অন্তর্ভুক্ত স্তন, ফুসফুস এবং কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
বাতের ব্যাথার মোক্ষম ওষুধ তিলের তেল
তিলের বীজ প্রদাহ এবং বাতের লক্ষণ হ্রাস করতে পারে। তিলের বীজে প্রচুর পরিমাণে তামা থাকে, যা প্রদাহ হ্রাস করতে সহায়তা করে। যেহেতু দেহ তামা তৈরি করতে পারে না, তাই তিল খেলে বা এর তেল ব্যবহার করলে ভালো কাজে দেয়।
হাড় শক্ত করে তিল
তিল হাড়কে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। কম ক্যালসিয়াম গ্রহণের ফলে হাড় ভাঙা বা অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি বাড়ায়। তিলের বীজে ক্যালসিয়াম থাকায় তা নিয়ন্ত্রণ করে।
ক্লান্তি দূর করে
আপনি যদি ক্লন্তি বোধ করেন, তবে আপনার শক্তির মাত্রা বাড়ানোর জন্য আপনার খাবারে তিল মিশ্রিত করে খান। তিলের বীজের মধ্যে ফাইটোস্টেরলগুলির উচ্চ ঘনত্ব থাকে, যা দেহে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে। লো কোলেস্টেরল মানে হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
হাঁপানিতে ভালো কাজ দেয়
হাঁপানিতে আক্রান্ত অনেকে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতিতে ভোগেন। তারা তিল খেলেই রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।