কম- বেশি সর্দি- কাশি-জ্বরে ভুগছে শহরবাসী। দ্রুত সুস্থ হতে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হওয়া খুবই জরুরি। কারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে শরীর সহজেই যে কোনও ভাইরাসের কবলে পড়তে পারে। ডায়েটে সেই জিনিসগুলি অন্তর্ভুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ যা, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। জানুন কোন খাবারগুলি খেলে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খাবার
বেরি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, গাজর, কুমড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। ডায়েটে এই জিনিসগুলি অন্তর্ভুক্ত করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, যা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি, বি এবং ই প্রচুর পরিমাণে এই সব খাবারে পাওয়া যায়। এগুলি নিয়মিত খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয় এবং শরীরকে ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।
ভিটামিন সি যুক্ত জিনিস
ভিটামিন সি যুক্ত খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ওষুধ বলে মনে করা হয়। কমলালেবু, পেয়ারা, আমলকি, বেরি, লেবু ইত্যাদিতে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এছাড়াও আপনি ডায়েটে তুলসি, নিম পাতা, গ্রিন টি ইত্যাদি রাখতে পারেন। এটি ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।
স্টার অ্যানেস
স্টার অ্যানেসে শিমিক অ্যাসিড নামে একটি যৌগ পাওয়া যায়। এতে অনেক উপকারী উপাদান রয়েছে যা, অনেক রোগ নিরাময়ে কার্যকর। থাই স্যুপ, তরকারি, সবজি ইত্যাদি তৈরিতে মশলা হিসেবে স্টার অ্যানেস ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া দুই টুকরো স্টার অ্যানেস জলে ১৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। জল হালকা গরম হলে পান করুন। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হবে।
হলুদ
হলুদে কারকিউমিন নামক একটি যৌগ থাকে যা শরীরের জন্য নানাভাবে উপকারী। রোজকার খাবারে হলুদ ও গোলমরিচের ব্যবহার করলে, এটি রুচি বাড়ানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করার জন্য হলুদ দুধ ভাল বিকল্প হিসাবে বিবেচিত।
নারকেল তেল
নারকেল তেল প্রদাহ কমাতে সহায়ক। প্রতিদিন ১ বা ২ চা চামচ অর্গানিক নারকেল তেল দিয়ে আপনার দিন শুরু করতে পারেন। এগুলি ছাড়াও এটিতে অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা, ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।
প্রিবায়োটিক খাবার
প্রিবায়োটিক খাবার যেমন ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড, আপেল, ওটস, বাজরা, আলু, কলা, রসুন, কিউই ইত্যাদি ব্যাকটেরিয়া রোধে এবং হজমের সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে। ডায়েটে প্রিবায়োটিক খাবার অন্তর্ভুক্ত করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয় এবং ভাইরাল সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায়।
নিজেকে সুস্থ রাখুন
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে মানসিক চাপমুক্ত থাকাটা খুবই জরুরি। স্ট্রেস মুক্ত থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীর যে কোনও ধরনের ভাইরাল সংক্রমণের ঝুঁকি কম থাকে। সেই সঙ্গে ক্যাফেইন ও অ্যালকোহলের পরিমাণ কমিয়ে দিন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন
যোগ ব্যায়াম করুন। প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট হাঁটলে শরীরকে সুস্থ থাকবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী হবে। সিগারেট, তামাক, অ্যালকোহল এবং অন্য কোনও ধরনের নেশা এড়িয়ে চলুন। কারণ এটি ফুসফুসের সমস্যা সৃষ্টি করে ভাইরাসের ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া প্রতিদিনের খাবারে ভিটামিন ডি যুক্ত জিনিস রাখুন। ইতিবাচক চিন্তা আপনাকে মানসিকভাবে ফিট রাখবে। তাই মনের থেকে খুশি থাকা খুব জরুরি।
পর্যাপ্ত ঘুম
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। তাই সুস্থ থাকতে প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম খুবই জরুরি।