বর্ষাকালে বৃষ্টির ধারাপাতে প্রফুল্লিত হয়ে ওঠে মন। তবে এই সময়ে জ্বর-সর্দি-কাশিও লেগেই থাকে। আরও বড় অসুখ-বিসুখেও ভুগতে পারেন যদি খাবারের দিকে নজর না দেন। এই মরসুমে কিছু খাবার খাওয়া উচিত নয়। এতে রোগবালাই থেকে বাঁচা যায়।
শাক ও কপি- বর্ষায় পালং, লাল, পুঁই শাক খাওয়া উচিত নয়। কপিও এড়িয়ে চলুন। ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক সংক্রমণের বিপদ রয়েছে এই মরসুমে। শাকের পাতার মধ্যে থাকতে পারে পোকামাকড়ও। তাতে পেট খারাপও হতে পারে।
মাশরুম- বর্ষায় মাশরুম খাওয়া উচিত নয়। বর্ষাকালে মাটিতে ওঠা মাশরুমে থাকে সংক্রমণের আশঙ্কা।
দই- বর্ষায় ডেয়ারি পণ্য খাওয়া উচিত নয়। দইয়ে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে পেটে গণ্ডগোল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
মাছ- বর্ষায় মাছ ও অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীর প্রজননের সময়। বর্ষায় মাছ খেলে বিষক্রিয়ার সম্ভাবনা থাকে। বর্ষায় আবর্জনা জমে থাকে আঁশে। তাই মাছ খাওয়া উচিত নয়।
রেড মিট- বর্ষায় হজম ক্ষমতা দুর্বল থাকে। তাই খাবার হজম করতে সমস্যা হয়। সেজন্য রেড মিট খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
স্য়ালাড- বর্ষায় স্যালাড খেতে বারণ করছেন বিশেষজ্ঞরা। আসলে কাঁচা সবজি বর্ষায় খাওয়া উচিত নয়। নানা ধরনের পোকামাকড় থাকতে পারে। কাটা ফলও খাওয়া উচিত নয়।
তেলে ভাজা- বর্ষায় অনেকেই তেলে ভাজা পছন্দ করেন। তবে তেলে ভাজা খাওয়া উচিত নয়। বর্ষায় হজম প্রক্রিয়া অনেকটা শ্লথ থাকে। সেজন্য পকোড়া, চপ, সিঙাড়ার মতো তেলে ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন।
স্ট্রিট ফুড- বর্ষার রোগাবালাই বেশি হয়। ডাক্তাররা বলছেন, বর্ষাকালে খোলা জায়গা থেকে ফল ও খাবার খাওয়া উচিত নয়। বর্ষার বৃষ্টির সঙ্গে থাকে নানা ধরনের জীবাণু। সেই জল খাবারে পড়ে। তাতে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।