শীত প্রায় দোরগোড়ায়। ঋতুবদলের এই সময়কালে অনেকেরই দেখা যায় অনেক শারীরিক সমস্যা। তার মধ্যে শুকনো কাশি খুবই উল্লেখযোগ্য।
ঘরে ঘরে এই সময়ে দেখা যায় শুকনো কাশিতে ভুগছেন অনেকেই। যার জেরে কাজকর্ম করতেও খুব হয়। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় রাত্রিবেলা। অনেকে শুকনো কাশির জন্যে ঘুমোতে পারেন না এবং আপনার পাশে শুয়ে থাকা ব্যক্তিটিও অসুবিধা বোধ করতে পারেন। জেনে নিন ঘরোয়া পদ্ধতিতে শুকনো কাশি থেকে পাওয়া কয়েকটি উপাদান।
মধু- শুকনো কাশিতে মধু উপকারী। ছোট থেকে বড় সকলের জন্যই কার্যকর এটি। এক টেবিল চামচ মধু সারা দিনে তিন থেকে চারবার খেতে পারেন। মধু শুধুও খেতে পারেন, আবার কখনো উষ্ণ গরম জল কিংবা চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে ও মধু খাওয়া যেতে পারে।
হলুদ- শুকনো কাশির জন্য খুব কার্যকরী। ১ টেবিল চামচ হলুদ এর সঙ্গে ১/৮ টেবিল চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো নিয়ে সেটি চা, দুধ কিংবা অন্য কোন পানীয় যেমন কোনো জুসে্র সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।
তুলসি পাতা- তুলসি পাতা শুকনো কাশির জন্যে খুবই কার্যকরী। সকালে খালি পেটে তিন থেকে চারটে তুলসি পাতা খেতে পারেন। তাছাড়াও তুলসি পাতা ফুটিয়ে চা খেতে পারেন।
মশলা চা - মশলা চা কেনাও পাওয়া যায়। তাছাড়া বাড়িতে চা তৈরি করার সময় দারুচিনি, এলাচ ও লবঙ্গ দিয়ে মশলা চা তৈরি করতে পারেন। অনবরত শুকনো কাশি হতে থাকলে এই মশলা চা খেলে উপকার পাবেন।
গরম জল ও নুন - নিয়মিত দিনে তিন থেকে চার বার আদা দিয়ে জল ফুটিয়ে সেই জল ছেঁকে নিন। এরপর নুন মিশিয়ে গারগেল করুন। গারগেল করার আধ ঘন্টা আগে ও পরে কোন খাবার খাবেন না এবং কম কথা বলবেন । তাহলে অবশ্যই উপকার মিলবে।
গোলমরিচ - শুকনো কাশির জন্যে গোলমরিচ খুবই উপকারী। অনেক রকম ভাবে গোলমরিচ খাওয়া যায়। বাজারে গোলমরিচ লজেন্স পাওয়া যায়, আপনি সেগুলি খেতে পারেন। তাছাড়াও অল্প পরিমাণে গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে চা তৈরি করে খান। রাত্রে শোয়ার আগে একবার গোলমরিচ দিয়ে চা খেলে শুকনো কাশি থেকে বিরাম পাওয়া যায়।
আদা - গলা খুসখুস কিংবা অনবরত কাশি হলে এক টুকরো আদা মুখে দিলে সমস্যার থেকে বিরাম পেতে পারেন। অনেক সময় আদার লজেন্স কিংবা ক্যাপসুল পাওয়া যায়, প্রয়োজনে সেটিও কাজে লাগাতে পারেন। তাছাড়াও আদা দিয়ে গরম জল ফুটিয়ে সেই জল ছেঁকে গার্গল করলে কিংবা সেই জল খেলে কাশি থেকে বিরাম পাবেন। আদা চা -ও খুবই উপকারী কাশি নিরাময়ের জন্যে।
লবঙ্গ- গলা খুসখুস করার সময় অল্প সন্দক লবণের সঙ্গে একটা লবঙ্গ কিছুক্ষণ মুখে রেখে সেটা চিবিয়ে খেলে গলায় আরাম পাওয়া যায়। মধুতে ডুবানো একটা লবঙ্গ অনবরত কাশির সময় মুখে রাখলে কাশি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এছাড়াও লবঙ্গ তেল কাশির নিরাময়ে খুব উপকারী।
চিকিৎসকের পরামর্শ- ঘরোয়া উপায় চেষ্টা করার পরেও যদি আপনার কাশি না কমে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।