বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের (BHU) গবেষকদের একটি দল ক্যান্সারের চিকিৎসা নিয়ে নতুন গবেষণা করেছে। এই গবেষণার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, নিম গাছের একটি বিশেষ উপাদান ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করতে পারে।
বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের (BHU) গবেষকরা জানিয়েছেন, ক্যান্সারের টি-সেল লিম্ফোমার বিরুদ্ধে নিম্বোলাইড (নিম গাছের একটি বায়োঅ্যাকটিভ উপাদান) প্রাথমিক ভাবে ইন-ভিটো এবং ইন-ভিভো থেরাপিউটিক কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে।
এটি হেমাটোলজিকাল ম্যালিগন্যান্সির চিকিৎসার জন্য একটি সম্ভাব্য ক্যানসার থেরাপিউটিক ড্রাগ (ক্যান্সারের ওষুধ) হিসাবে নিম্বোলাইডের উপযোগিতাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছে।
BHU-এর মুখপাত্র রাজেশ সিং-এর মতে, এই গবেষণার নতুন ফলাফলগুলি একটি নামী আন্তর্জাতিক পত্রিকা 'এনভায়রনমেন্টাল টক্সিকোলজি'-এ দুটি অংশে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণাটি গবেষক বিশাল কুমার গুপ্ত, রাজন কুমার তিওয়ারি এবং শিব গোবিন্দ রাওয়াতের সঙ্গে তাঁদের ছাত্র প্রদীপ কুমার জয়স্বরা দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল।
এই গবেষণাটি UGC স্টার্ট-আপ গবেষণার ভিত্তিতে আর্থিক অনুদান পেয়েছে। এই গবেষণায় নিম্বোলাইড (নিম গাছের একটি বায়োঅ্যাকটিভ উপাদান) প্রাথমিক ভাবে ক্যান্সারের টিউমার কোষের বৃদ্ধি রুখে দিতে সক্ষম হয়েছে, যা চিকিৎসায় আশা জাগাচ্ছে গবেষকদের।
গবেষকরা বলেছেন যে নিম একটি ঐতিহ্যবাহী ঔষধি গাছ যার ফুল এবং পাতাগুলি তাদের অ্যান্টি-প্যারাসাইটিক, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সহ একাধিক ঔষধি গুণাবলীর কারণে অনেক রোগের চিকিৎসার জন্য যুগ যুগ ধরে ওষুধ হিসাবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
সম্প্রতি, নিমবোলাইড, নিম পাতা এবং ফুল থেকে বিচ্ছিন্ন একটি বায়োঅ্যাকটিভ উপাদান, এটির ঔষধি মূল্যের পিছনে অন্যতম প্রধান অণু হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নিম্বোলাইডের টিউমার-বিরোধী কার্যকারিতা শুধুমাত্র কয়েকটি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে মূল্যায়ন করা হয়েছে।