North Bengal Tourism Offbeat Pedong: শীতের পালা সাঙ্গ হয়েছে। এবার ঘোরার জন্য বসন্তের ডেস্টিনেশন খুঁজতে হবে। অর্থাৎ যেখানে বসন্তবৌরি গান গায়, যেখানে পাহাড় আছে, পাহাড়ের গায়ে পেঁজা তুলোর মত মেঘ আছে, কখনও কুয়াশা এসে ঢেকে দিয়ে যায়। আবার পরক্ষণেই ঝকঝকে। পাহাড়ের গায়ে ফুটে থাকে নাম না জানা কতশত ফুল, প্রজাপতি খেলে রডোডেনড্রনের কলিতে।
এমন জায়গা বললেই আমাদের মাথায় আসে দার্জিলিংয়ের কথা। তার সঙ্গে কেউ কেউ কালিম্পং বা কার্শিয়ং, মিরিকেও যেতে চান। কিন্তু বারবার এক জায়গায় যাওয়ার দরকার কী? বরং রুট সামান্য বদলে নিলেই অচেনা রূপকথার রাজ্য যদি ধরা দেয় হাতের মুঠোয়, তাহলে সেখানে না যাওয়াটাই বোকামি।
এমনই একটি ডেস্টিনেশনের খোঁজ আপনাদের আজ দেব। যার নাম শুনেছেন। হয়তো বা শোনেননি। তবে গিয়েছেন খুব লোকই। এটা হলফ করে বলা যায়। কিন্তু যদি একবার পা রাখেন, অনেকেই আর পরিচিত জায়গাগুলিতে যেতে নাও চাইতে পারেন।
দার্জিলিংয়ের মত ভিড় নেই এখানে। কারণ হাজার হাজার হোটেল এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট করেনি। ৪০৮০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই গ্রামটি যেন স্বর্গের সঙ্গে লাগোয়া।
দেখলেই মনে হবে প্রকৃতি যেন তার শোভা ছড়িয়েছে। কালিম্পং শহর থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে। এখানে এলে দেখতে পাবেন ছোটবেলার বইয়ে পড়া রূপকথার রাজ্য। পাহাড়, পাহাড়ের গা ঘেঁষে উঁকি দিয়ে চলে মেঘ। চা বাগানের বুক চিরে আসা ঝরনার জলের কুলুকুলু শব্দে পা ডুবিয়ে জাস্ট বসে থাকুন। আর কী চাই? শুধু মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দিতে ভুলবেন না।
কী কী দেখবেন?
এখানকার একটা বিশেষ আকর্ষণ, যেটা ইদানীং পর্যটকদের পেডং আসার জন্য উসকে দিচ্ছে, তা হল এখান থেকে দার্জিলিং, সিকিম, ভুটান এবং তিব্বতের কিছু অংশ দেখা যায়। আকাশ পরিষ্কার থাকলে কাঞ্চনজঙ্ঘাও পরিষ্কার পেয়ে যেতে পারেন। এছাড়া ভুটানিদের হাতে গড়া সাংচেন দোরজি গুম্ফা,রামি ভিউ পয়েন্ট,ফরাসিদের তৈরী স্যাক্রেড হার্ট গির্জা, সাইলেন্ট ভ্যালি এবং দামসাং ফোর্ট অবশ্যই দেখবেন।
কীভাবে যাবেন?
শিলিগুড়ির এনজেপি স্টেশন বা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি গাড়ি পাওয়া যাবে। দূরত্ব কমবেশি ১০০ কিলোমিটার। গাড়িভাড়া ২৫০০ থেকে ৩৫০০ টাকা পড়বে।
কোথায় থাকবেন?
এখানে ঘুরতে এলে হোমস্টে ছাড়া গতি নেই। তবে গেস্ট হাউজ এবং রিসর্টও রয়েছে। থাকা-খাওয়া বাবদ খরচ পড়বে মাথাপিছু হিসেবে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা পড়ে। এর মধ্যেই খাবার খরচ ধরা থাকে।