কমলালেবু মূলত শীতকালীন ফল। প্রচুর পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ কমলালেবু খাওয়ার পাশাপাশি এর খোসা ত্বকের যত্নেও খুবই উপকারি। তবে খোসার সঠিক ব্যবহার না জানলে লাভের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি।
সাধারণত আমরা কমলালেবু খাওয়ার পর এর খোসা ফেলে দেই। কিন্তু অনেকেই জানি না যে, কমলালেবুর খোসায় রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ। আসুন জেনে নিই কমলালেবুর খোসার কিছু ব্যবহার ও উপকারিতা।
২ টেবিল চামচ কমলার খোসা গুঁড়ো, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ চন্দন গুঁড়ো মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। সারা মুখে ভাল করে লাগিয়ে তিরিশ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে নিন। মাসে ৩ থেকে ৪ বার করলে ভাল ফল পাবেন।
১ টেবিল চামচ কমলার খোসা গুঁড়ো, ১ টেবিল চামচ হলুদ ও ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মুখ ও গলায় লাগান। ১০ মিনিট পর গোলাপ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন, তবে ব্রণ থাকলে এই প্যাক লাগাবেন না।
স্ক্রাবার হিসাবে কমলালেবুর খোসা ত্বকের মৃত কোষকে সরিয়ে ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। এক টেবিল চামচ টক দই কমলালেবুর খোসার গুঁড়োর সঙ্গে মিশিয়ে গোটা মুখে মেখে নিন। ২০ মিনিট রেখে পরিষ্কার জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন উজ্জীবিত লাগবে ত্বক।
কমলালেবুর খোসাতে থাকে জীবাণুনাশক, প্রদাহনাশক ও ছত্রাকনাশক গুণ। মুখে হওয়া ব্রণর বিরুদ্ধে কাজ করে মুখকে ব্রণ মুক্ত করে তুলতে পারে কমলার খোসা। একটি গোটা কমলার খোসা ১ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে নিয়ে সেই জল মুখ ধোয়ার কাজে ব্যবহার করুন।
তাজা কমলার খোসার সঙ্গে মুসুরের ডাল বেটে নিন। মিশ্রণটি নিয়মিত ত্বকে লাগান। এতে ত্বক মসৃণ তো হবেই, মুখের দাগও দূর হবে
ট্যান তুলে ত্বক উজ্জ্বল করতে কমলালেবুর তুলনা হয় না। শীতকালে ড্রাই, অয়েলি সবরকম স্কিনের জন্যই উপকারি। বাজারচলতি ফেসপ্যাকের বদলে কমলার তেলে তৈরি ক্রিম ত্বককে আরও বেশি তরতাজা করে তোলে। ত্বকের সুরক্ষা দেয়।
কমলালেবুর খোসাতে থাকে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। ত্বকের যে কোনও সংক্রমণ রুখতে পারে কমলালেবুর তেল। ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে আরও সতেজ করে তোলে অরেঞ্জ স্কিন ইরেজার। এতেও আছে অরেঞ্জ এসেনশিয়াল অয়েল এবং অরেঞ্জ পিল।
খোসা শুকিয়ে গুঁড়ো করে রেখে দিতে হবে। পরে তার সঙ্গে চন্দন, মুসুর ডাল বাটা বা আরও নানা জিনিস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে মাখলেই একেবারে ঝকঝকে ত্বক। টানটান। হিমেল হাওয়ায় চামড়া ফাটবে না একেবারেই।