Stealthing: অনেক চেষ্টা এবং আলোচনার পর আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় সেক্স নিয়ে এক কড়া আইন এল। সেখানকার গভর্নর গেবিন নিউসম তাতে সম্মতি জানিয়েছেন। স্টিলথিংয়ে সায় দিয়েছেন তিনি।
স্টিলথিং মানে
বিষয়টি হল পার্টনারের সম্মতি ছাড়া সেক্সের সময় কন্ডোম সরানো। সম্মতি ছাড়া সে কাজ করলে বেআইনি করার দাবি উঠেছিল। আর সেই দাবি মানা হয়েছে। সেই সঙ্গে সঙ্গে ক্যালিফোর্নিয়া আমেরিকার প্রথম এমন রাজ্য হল, যেখাানে এমন নিয়ম চালু হল।
এখন থেকে সেক্সের সময় পার্টনারের সম্মতি ছাড়া কন্ডোম সরানো সে রাজ্যে বেআইনি। যারা এমন করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাও করা যেতে পারে। মানে যাঁরা সেক্সের সময় পার্টনারের সম্মতি ছাড়া কন্ডোম সরাবেন।
দীর্ঘদিনর লড়াই
বিবিসি-র রিপোর্ট অনুসারে, এই আইনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করেছেন ক্রিস্টিনা গার্সিয়া। তিনি বিধানসভায় এই বিল পেশ করেছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, আমরা এটি বলতে চাই স্টিলথিং কেবল অনৈতিক নয়, এটি অবৈধও।
ডেমোক্র্যাটিক অ্যাসেম্বলির গার্সিয়া ২০১৭ সাল থেকে এ নিয়ে আইন তৈরির কাজে নেমেছিলেন। যাঁরা এমন কাজে যুক্ত, তাঁদের অপরাধী বলার পক্ষে ছিলেন তিনি। এবং তাঁদের জেলে পাঠানোর দাবি তুলেছিলেন।
এ নিয়ে তাঁকে বেশ পরিশ্রম করতে হয়। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁর পরিশ্রম, চেষ্টার জয় হয়েছে। তাঁর বিল মঞ্জুর হয়েছে। কোনও বিরোধিতা ছাড়াই সেটি সম্মতি পেয়েছে।
এখন কী হবে?
এবার থেকে সম্মতি ছাড়া কেউ সেক্সের সময় কন্ডোম পবের করে নিলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাবে। অভিযোগকারী ক্ষতিপূরণ চেয়ে অভিযুক্তের কাচ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবেন। তবে অভিযুক্তের দোষ প্রমাণ হলে তাঁকে এর বাইরে আর কোনও শাস্তি দেওয়া যাবে না।
গার্সিয়া বিবিসি-কে জানিয়েছেন, আমার এখনও মনে হয়, এই আইনে শাস্তি আরও কড়া হওয়া দরকার। কেউ যদি সম্মতি ছাড়া কন্ডোম সরায়, তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের মামলা দায়ের হবে না কেন?
এর কারণে সমস্যা
গার্সিয়া দাবি করেন, স্টিলথিংয়ের জন্য অনেক মহিলা সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজে আক্রান্ত হন। অনেক সময় তাঁরা গর্ভবতীও হয়ে পড়েন।
তবে আইন তৈরির আগে অনেকে এ নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন। তাঁদের দাবি, অভিযোগ জানাতে গেলে অনেক সমস্যা তৈরি হতে পারে।
যেমন অভিযোগকারীকে এটা প্রমাণ করতে সমস্যা হবে যে কন্ডোম সম্মতি ছাড়া সরানো হয়েছে। ভুল করে সরে গিয়েছে, কেউ এমন দাবি করলে তখন কী হবে?