কখনও খাদ্যাভ্যাসের ভুলে আবার কখনও অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে আমাদের লিভার নষ্ট হয়ে যায়। সিরোসিস অব লিভারের সমস্যা অনেককেই বিপদে ফেলে। সব সময় যে চিকিৎসকের কাছে যেতেই হবে তা কিন্তু নয়, নিয়মিত কয়েকটি জিনিস খেলে কিন্তু খাদ্যাভ্যাসের বদভ্যাস কিংবা অ্যালকোহলজনিত সমস্যা অনেকটাই কাটানো যায়।
বিভিন্ন রিপোর্টে বলা হয়েছে হলুদ খাওয়া লিভারের জন্য ভাল। কাঁচা হলুদ গুড় দিয়ে কিংবা গুঁড়ো হলুদ দুধ বা হালকা গরম জলে মিশিয়ে পান করলে দারুণ উপকার পাবেন। এর ফলে লিভারজনিতি রোগ হওয়ার সুযোগ কমবে।
আপেল শরীর থেকে সব রকম টক্সিন দূর করে। রোজ ১ টি আপেল খেলে ভাল। এতে ফলে লিভারের দারুণ উপকার হয়। হজম ক্ষমতা বাড়ে।
লেবুও লিভারের জন্য দারুণ উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক অ্যাসিড লিভারের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখে। এ জন্য আপনি লেবুর সঙ্গে নানা ধরনের ডাল বা সবজি খেতে পারেন।
আখরোট ভিজিয়ে রেখে সকালে বা নির্দিষ্ট একটি সময় রোজ খান। এটি লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। গবেষণা অনুযায়ী, আখরোট ফ্যাটি লিভারের আশঙ্কা অনেক খানি কমাতে সাহায্য করে।
অলিভ অয়েলও লিভারকে সুস্থ রাখে। ড্যামেজ হওয়া থেকে আটকায়। এই তেলের দাম বেশি হওয়ায় প্রতিদিন না পারলেও মাঝে মাঝে এই তেল ব্যবহার করুন। স্যালাড, পাস্তা, পিজ্জা, স্যান্ডউইচে তেলটি স্প্রে করে খেলে লিভারের কবচ হিসেবে কাজ করে।
প্রতিদিন বিকেলে, সন্ধ্যার আগে এক কাপ গ্রিন টি পান করুন। বিভিন্ন গবেষণায় স্বীকৃত, প্রতিদিন এই সময়ে গ্রিন টি পান করলে লিভারের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
বিট বা বিটের রস খেলে লিভার থাকে সুস্থ। এতে থাকা ফাইবার, ভিটামিন বি ৯, ম্যাঙ্গানিজ, পটাসিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিন-সি লিভারকে পুষ্ট করে। বিটের রস লিভারকে প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
ফুলকপি, বাঁধাকপি কিংবা ব্রকোলি লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। এগুলি লিভারের কার্যকারিতা এবং লিভারের এনজাইমের মাত্রা উন্নত করতে কাজ করে। নিয়মিত এগুলি খাবারে রাখলে ভাল।