শীতের মরসুমে ফুলকপি খাবেন না, তা কি হয়? ফুলকপি শুঘু খেতেই ভাল নয়, এতে রয়েছে মেলা গুণ! এতে থাকা সালফার সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য উপকারী। নানাগুণে গুণান্বিত এই সবজি রোগ প্রতিরোধক হিসেবে দারুণ উপকারী। তাই খাওয়ার আগে জেনে নিন ফুলকপির পুষ্টিগুণ।
ক্যান্সার প্রতিরোধক
ফুলকপিতে এমন কিছু উপাদান আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। ফুলকপিতে থাকা সালফোরাফেন উপাদান ক্যান্সারের স্টেম সেল ধ্বংস করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের টিউমারের বৃদ্ধি প্রতিহত করে।
হৃদযন্ত্র ভালো রাখে
হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে ফুলকপি বেশ সহায়ক। এর সালফোরাফেন উপাদান রক্ত চাপ কমায় এবং কিডনি ভালো রাখে। তাছাড়া ধমনীর ভিতরে প্রদাহ রোধ করতেও সাহায্য করে ফুলকপি।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
শীতের সুস্বাদু সবজি ফুলকপির আরও একটি অন্যতম গুণের একটি হল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা। যারা ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন, তারা ফুলকপি খাবারের তালিকায় রাখতে দ্বিধা করবেন না।
ফুসফুস ভালো রাখতে
ফুলকপি খাওয়ার একটি অন্যতম উপকারিতা হল ফুসফুস রক্ষা করা। ফুসফুস রোগ বৃদ্ধির জন্য দায়ী ভয়াবহ জীবাণুগুলো ফুলকপি খাওয়ার মাধ্যমে সহজেই ধ্বংস করা যায়। তাই ফুসফুস ভালো রাখতে ফুলকপি খেতে ভুলবেন না।
ভিটামিন এবং খনিজে সমৃদ্ধ
শরীর সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখার জন্য সঠিক পরিমাণে পুষ্টির প্রয়োজন। নিয়মিত ফুলকপি খেলে দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়। ফুলকপিতে প্রচুর ভিটামিন-সি থাকে। এছাড়াও এতে শরীরের জন্য উপকারী ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার, পটাসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ পাওয়া রয়েছে।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
ফুলকপিতে থাকা ভিটামিন-বি মস্তিষ্কের ডেভলপমেন্টে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে থাকা কলিন মস্তিষ্কের কগনিটিভ প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এতে স্মৃতিশক্তি বাড়ে ও দ্রুত শিখতে সাহায্য করে।
হজমে সহায়ক
ফুলকপিতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সালফার-জাতীয় উপাদান থাকায় এটি খাবার হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। তাছাড়া ফুলকপিতে থাকা ফাইবার খাবার হজম করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
কোলস্টেরল কমায়
এতে প্রচুর ফাইবার আছে, যা শরীরে কোলস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে মোক্ষম
ফুলকপি শরীরের বাড়তি মেদ কমিয়ে শরীরকে একটি সুন্দর গঠনে আনতে সাহায্য করে। যারা তাদের শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত ও ডায়েট করার কথা ভাবছেন তারা নির্দ্বিধায় ডায়েট লিস্টে ফুলকপির নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
ইনফেকশন প্রতিরোধক ও অ্যান্টি এজিং
নিয়মিত ফুলকপি খেলে দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে। তাছাড়া ফুলকপির অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো ফ্রি র্যাডিকেলের ক্ষতির হাত থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয়, বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর করে এবং টিস্যু ও অঙ্গের ক্ষতি হওয়া প্রতিহত করে। সুস্থ দেহের জন্যই নয়, চুল, ত্বক ও সাধারণ কাঁটা ছেঁড়া ও ইনফেকশন প্রতিরোধে ফুলকপির তুলনা হয় না। ফুলকপির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শরীরকে বিষমুক্ত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে গ্লুকোসিনোলেটস থাকে যা শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। ফুলকপিতে ইন্ডোল-৩-কার্বিনোল থাকে যা ইনফ্লামেশন থেকে রক্ষা করে। ফুলকপির অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো ফ্রি র্যাডিকেলের ক্ষতির হাত থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয়, বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর করে এবং টিস্যু ও অঙ্গের ক্ষতি হওয়া প্রতিহত করে। ফুলকপি চোখকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। ফুলকপিতে ভিটামিন এ-এর পরিমাণ বেশি থাকায় চোখের যত্নে ফুলকপির কোন তুলনা হয় না।