ধসে বিধ্বস্ত সিকিম। একাধিক রাস্তায় টানা ধস নেমেই চলেছে। ফলে বন্ধ সোজাপথে সমতলের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ। বেশ কয়েকটি রাস্তা এখনও ধস সরিয়ে স্বাভাবিক হয়নি। কিছু রাস্তা তো বর্ষা শেষ না হলে মেরামতই করা যাবে না।
ফলে সিকিমে প্রবেশ করতে হলে ঘুরপথে কখনও ডুয়ার্স হয়ে, আবার কখনও দার্জিলিংয়ের পথ দিয়ে পাহাড়ে উঠে উল্টো ঘুরে কালিম্পং দিয়ে যেতে হচ্ছে সিকিমে। ফলে সময়, খরচ দুটোই বেশি লাগছে।
তা সত্ত্বেও সিকিমে পর্যটকের ঢল। প্রশাসনের সতর্কবার্তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গ্যাংটক, ছাঙ্গু, বাবামন্দির, খেচিপেরি, গুরুডোংমারের মতো এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দেশ-বিদেশের পর্যটকের দল।
শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক যেতে যেখানে সাধারণত সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগে, সেখানে এখন সময় লাগছে ৭ ঘন্টারও বেশি। তারপরও ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে লম্বা লাইন পড়ে যাচ্ছে পর্যটকদের গাড়ির।
প্রশাসনের সতর্কবার্তাও কাজ করছে না। কদিন আগেই সেবকে গাড়ির উপর পাথর ধসে পড়ে। তারপরও এত ভিড় কেন? এর পfছনে রহস্য কী?মানুষ কি পড়ছেন না মৃত্যুভয়কেও?
আসলে এই মুহূর্তে নেট মাধ্যমে পরিষ্কার চিত্রটি প্রত্যেকদিনের হাতে পাওয়া যাচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছেন এক বাংলাদেশি পর্যটক।
ঘরে বসেই এই মুহূর্তে কোথায় কি পরিস্থিতি তা যেমন জেনে নেওয়া যাচ্ছে তেমনি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের হাতে-গরম রিপোর্ট থেকেও তারা জানতে পারছেন কবে কোথায় কখন ধস নামছে? ফলে একটু সচেতন থেকে ঘুরতে পেরোলেই কোন সমস্যা নেই বলছেন তারা।
এই সার্কিটে ঘোরার একটা বড় সমস্যা রয়েছে গাড়ি ভাড়া। সব জায়গাতেই সমস্যা থাকলেও কোথাও কোথাও সিকিম যাওয়ার ভাড়া মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
৫০ কিলোমিটার পথ যেতে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা চেয়ে বসছেন গাড়িচালকরা। ৭০০০ থেকে ১০ হাজার টাকা লেগে যাচ্ছে মাত্র এক-দেড় দিনের টুরেও। তারপরও মরিয়া পর্যটকরা।
তুলনামূলক ভিড় কম দার্জিলিং-কালিম্পংয়ে। যদিও এদিকে ধসের তেমন কোনও সমস্যা নেই। পাশাপাশি বিকল্প পথও খুব একটা ঘোরা নয়। তা সত্ত্বেও ভিড় দার্জিলিঙে কম কেন প্রশ্ন উঠছে।
পর্যটন বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন আসলে দার্জিলিং এর মূল্য আকর্ষণ ম্যলকেন্দ্রিক। তার আশেপাশে ঘোরার জায়গা থাকলেও থাকার জায়গায় ক্ষেত্রে ম্যাল-এর আশপাশেই পছন্দ করেন। তার আশপাশে কোন জায়গা না পেলে তারা অন্যদিকে চলে যাচ্ছেন। সিকিমে গ্যাংটক একমাত্র মুখ্য আকর্ষণ নয়। লাচুং, লাচেন, ইয়ুমথাং, পেলিং, আরিটার, মাঝিটার, জুলুকে সহ বিভিন্ন জায়গা সমানভাবে পর্যটক টানছে এবং প্রত্যেক জায়গায় ফেসিলিটি ভালো।