ওজন বেড়ে গেলে আমাদের পার্সোনালিটি যেমন বিগড়ে যায়, তেমনই ওজন কমালে পার্সোনালিটি ডেভলপ হয় এটা অনস্বীকার্য। এমনকী ওজন কম থাকলে শরীরে অনেক রকম রোগ বাসা বাঁধতে পারে না। যদিও অনেকেই শর্টকাটে ওজন কমানোর চেষ্টা করেন। কম সময়ে ওজন কমানো শরীরের পক্ষে শুধুমাত্র ক্ষতিকারক তাই নয়, এটি দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা তৈরি করে দিতে পারে। আবার স্থূলত্ব ফের বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। ওজন কমানোর জন্য এক্সপার্টরা ৭টি এমন পদ্ধতি ওপর বেশি জোর দিচ্ছেন, যাতে একবার ওজন কমে গেলে সেই ওজন আর দ্বিতীয়বার বাড়বে না।
প্রোটিন
ফিটনেস এক্সপার্টরা বলেন যে, তিনবেলা খাবারে আমাদের প্রোটিনের মাত্রা বাড়াতে হবে। প্রোটিনের বেশি মাত্রা মাংসপেশি মজবুত করে এবং ওজন কমায়। শরীরে ভাল জিনিস থেকে পাওয়া প্রোটিনের অনেক রকম ফায়দা রয়েছে। চিকেন, ডিম, বাদাম, বিনস, বিভিন্ন শাক-সবজি, ডাল, সয়া এবং ডেয়ারি প্রোডাক্ট থেকে সবচেয়ে ভালো প্রোটিন পাওয়া যায়।
শরীরচর্চা
ওজন কমানোর জন্য রোজ নিয়মিত রূপে এক্সারসাইজ করা অত্যন্ত জরুরি। রোজ এক ঘন্টা এক্সেরসাইজ করলে আপনি শরীরগতভাবে সক্রিয় থাকবেন। যাতে শরীরের ফ্যাট এবং ওজন দুটোই কম থাকবে। আপনাকে প্রত্যেক ৩০ মিনিটে প্রায় তিন মিনিটের জন্য শরীরকে না ঝুঁকিয়ে সম্পূর্ণ ভার দুটো পায়ের পাতার উপর রাখতে হবে।
বেশি ক্যালোরি গ্রহণ কমাতে হবে
আপনি দিনভর যতটা ক্যালরি সেবন করেন, তার চেয়ে বেশি কমানোর উপরে ফোকাস রাখতে হবে। এর জন্য খালি পেটে থাকার ভুল একবারই করবেন না। ফাইবার এবং প্রোটিনযুক্ত জিনিস খেতে হবে। যা লম্বা সময় পর্যন্ত আপনার খিদে কন্ট্রোল করতে পারবে। ফল-সবজি, গোটা আনাজ, বাদাম, বিনস, ডাল এবং ফাইবার যুক্ত সবজি বেশি করে খেতে হবে।
টিপস বাড়াতে হবে
যদি আপনি দিনভর চেয়ারে বসে কাজ করেন, তাহলে আপনাকে এই অভ্যাস বদলাতে হবে। বেশি করে হাঁটাচলা করতে হবে। আপনি ফোনে কথাবার্তা বলার সময়ও স্টেপস কাউন্ট বাড়াতে পারেন। স্টেপস কাউন্ট ধীরে ধীরে বাড়ানোর চেষ্টা করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম
রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যাপ্ত ঘুমোতে হবে। এতে স্লিপ কোয়ালিটিরও গুরুত্ব রয়েছে। মদ্যপান বন্ধ করতে হবে। রাতে শোয়ার আগে এক কাপ দুধের সঙ্গে একটু গুড় বা জায়ফল খেলে ভালো ঘুম আসে। এটি ইমিউনিটি বাড়াতেও সাহায্য করে।
বেশি করে জল খেতে হবে
জল শরীরের জন্য সবচেয়ে জরুরি জিনিস। এটি শুধুমাত্র আপনার বডিকে হাইড্রেট করে তাই নয়, বরং খুব দ্রুত ওজনও কমাতেও সাহায্য করে। লিঙ্গ ও শারীরিক গঠন অনুযায়ী জলের প্রয়োজনীয় মাত্রা ঠিক করা হয়।
ঘরের খাওয়ার খেতে হবে
ঘরে তৈরি খাবার সবচেয়ে পুষ্টিকর। তাই ঘরে বানানো খাবার খাওয়া উচিত। বাইরের খাওয়া বিশেষ করে জাঙ্ক ফুড একেবারেই না খাওয়া সবচেয়ে ভাল। প্যাকেটজাত খাবার কম খাওয়ার চেষ্টা করুন। যখন আপনি ঘরেই নানারকম সুস্বাদু খাবার খাবেন, তখন আপনার বাইরের খাবার খাওয়ার অভ্যাস দূর হয়ে যাবে। ওজন কম করতে হলে সঠিক খাবার দাবার খাবার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।