খাবার নষ্ট করার অভ্যাস অনেকেরই আছে। রাতে খাবার বেচে গেলে তা ফেলে দেন। খাবার নষ্ট না হওয়া সত্ত্বেও ফেলে দেন অনেকে। খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতে প্রতি বছর প্রায় ৪০ শতাংশ খাদ্য নষ্ট হয়।
মানুষকে খাদ্য নিরাপত্তার সমস্যা সম্পর্কে সচেতন করতে প্রতি বছর ১৬ অক্টোবর বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত হয়।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকার- চিকিৎসকেরা বলছেন, বাসি রুটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিন সকালে দুধের সঙ্গে বাসি রুটি খেলে আপনার শরীরে চিনির মাত্রার ভারসাম্য বজায় থাকে। এটি প্রদাহের সমস্যা থেকেও শরীরকে স্বস্তি দেয়।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ- বাসি রুটি খাওয়া রক্তচাপের রোগীদের জন্যও খুব উপকারী। সকালে ঠান্ডা দুধের সঙ্গে বাসি রুটি খেলে উচ্চ রক্তচাপ সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি- পেটের সমস্যা, অ্যাসিডিটি এবং কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন এমন ব্যক্তিরাও বাসি রুটি থেকে স্বস্তি পেতে পারেন। সকালে দুধের সঙ্গে খেলে অ্যাসিডিটি এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
জিমে যাওয়ার জন্য উপকারী- খুব কম মানুষই জানে যে বাসি রুটি জিম যারা করেন তাদের জন্যও উপকারী। বাসি রুটির অনেক উপকারিতা আছে। যারা জিমে মাসল গেইন করতে চান তাদের জন্য উপকারী। তবে জিমের প্রশিক্ষককে আগে জিজ্ঞেস করে নেবেন।
তাজা রুটির থেকে বাসি রুটি বেশি পুষ্টিকর- বাসি রুটি টাটকা রুটির থেকে বেশি পুষ্টিকর। কারণ যে ব্যাকটেরিয়াগুলি এটিকে দীর্ঘক্ষণ রাখার কারণে বাড়ায়, এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে, বিশেষ খেয়াল রাখবেন যে রুটি যেন ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টার বেশি বাসি না হয়।