Advertisement

Dinner Time : ডিনারের ঠিকঠিকানা নেই? বাড়বে ওজন, উড়বে ঘুম, সঙ্গে আরও সমস্যা

Dinner Time: রাতের খাওয়ার ঠিক সময়ে না খেলে, রাতের খাওয়া এবং ঘুমাতে যাওয়ার মধ্যে বেশ কয়েক ঘণ্টার ব্যবধান না থাকলে অনেক সমস্যা তৈরি হতে পারে। যা পরে বড়সড় আকার নিতে পারে।

রাতের খাবারের সময় ঠিক থাকা দরকারি (প্রতীকী ছবি)রাতের খাবারের সময় ঠিক থাকা দরকারি (প্রতীকী ছবি)
অভিজিৎ বসাক
  • কলকাতা,
  • 29 Jan 2022,
  • अपडेटेड 11:33 AM IST
  • আমাদের অনেকেই রুটিন মেনে চলি না
  • বেশ বেপরোয়া জীবনযাপন কাটাতে ভালবাসি
  • আর এই করে যে শরীরের বারোটা বাজাচ্ছি, তা খেয়াল রাখি না

Dinner Time: আমাদের অনেকেই রুটিন মেনে চলি না। বেশ বেপরোয়া জীবনযাপন কাটাতে ভালবাসি। যখন ইচ্ছা খাওয়া, যখন ইচ্ছা ঘুমানো। আর এই করে যে শরীরের বারোটা বাজাচ্ছি, তা খেয়াল রাখি না। 

রাতের খাওয়ার ঠিক সময়ে না খেলে, রাতের খাওয়া এবং ঘুমাতে যাওয়ার মধ্যে বেশ কয়েক ঘণ্টার ব্যবধান না থাকলে অনেক সমস্যা তৈরি হতে পারে। যা পরে বড়সড় আকার নিতে পারে। জানাচ্ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী। 

আরও পড়ুন

কী কী সমস্য়া হতে পারে
তিনি জানান, ওজন বেড়ে যাওয়া, অ্যাসিডিটির সমস্য়া হতে পারে রাতের খাবার ঠিক সময়ে না খেলে বা খাওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়লে। রাতের খাবার হতে হবে হালকা। খুব ভাল হয় যদি রাতের খাওয়া শেষে সামান্য হাঁটাচলা করা যেতে পারে।

ডিনার বা রাতের খাবার দেরি করে খেলে আমাদের আরও অনেকগুলো সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্থূলত্ব বা মোটা হয়ে যাওয়া তার অন্যতম বড় ক্ষতিকারক দিক। আমরা কী খাই, কতটা খাই এবং কখন খাই- তিনটেই ম্য়াটার করে ওজন বেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে। ঘুমানোর সামান্য আগেই খেলাম তারপর ঘুমিয়ে পড়লাম এটা ওজন বাড়ার একটা বড় কারণ। 

তাঁর পরামর্শ, আপনি যখন ঘুমাতে যাবেন তার ঘণ্টা তিনেক আগে খাবার খেয়ে নিতে হবে। ডিনার হবে হালকা। এর পাশাপাশি ডিনারে রিচ খাবার, অনেকটা খাবার খাওয়া ঠিক নয়।

সমস্যার শেষ নেই
দেরি করে খাবার খেলে বেশ কয়েকটি সমস্য়া দেখা দিতে পারে। প্রথমত, খাবার তো হজম হবে না। খেয়েই ঘুমিয়ে পড়লে। দ্বিতীয় ক্যালরি জমে থাকবে। মেটাবলিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। হজম না হলে বদহমজ, অ্যাসিডিটি হতে পারে। 

Advertisement

রাতে অনেকের ঘুম আসতে চায় না। অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন। এটা রাতের খাবার দেরি করে খাওয়ার কারণে হতে পারে। তাই এই সমস্য়া দূর করতে রাতে ঠিক সময়ে খেতে হবে। 

রাতে কী খাওয়া যাবে আর কী নয়
ডিনারে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম থাকবে। ভাত-রুটি কম থাকা দরকার। সবজি বেশি থাকবে বা থাকা উচিত। এক টুকরো মাছ বা এক টুকরো মাংস থাকতে পারে। অনেক বেশি পরিমাণে অবশ্যই নয়। বেশি পরিমাণে জল খাওয়া উচিত। 

পারলে একটু হাঁটাচলা
সম্ভব হলে ডিনার এবং ঘুমানোর মাঝখানে হাঁটাচলা সম্ভব হলে। রাস্তায় হয় তো হাঁটা সম্ভব নয়। তা হলে ছাদে হাঁটাচলা করতে পারেন। শীতকালে হয়তো সম্ভব নয়। তার বদলে ঘরে সামান্য় সময়ের জন্য হাঁটাচলা করতে পারলে ভাল। ডিনার করলেন, টিভি দেখলেন এবং শুয়ে পড়লেন, এটা ঠিক নয়। রাতে যেটুকু খাবার করলেন তা হজমের জন্য ব্যায়াম বা অন্য শারীরিক কসরৎ নয়, মুভমেন্ট করলে শরীরের পক্ষে ভাল।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement