Advertisement

Sleep Tips : ৩৬ শতাংশ মানুষের ঘুম উড়েছে সঙ্গীর নাক ডাকার শব্দে, আপনার?

Sleep Tips: এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে আমাদের গদি বা বালিশও ঘুমের মানের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। এর পাশাপাশি ঘরের বা বাড়ির আশেপাশের মানসিক বা শারীরিক পরিবেশও এর ওপর প্রভাব ফেলে।

খারাপ ঘুম হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে (প্রতীকী ছবি)
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লি,
  • 08 Apr 2022,
  • अपडेटेड 7:48 AM IST
  • শরীর ও মনের সুস্থতার জন্য সঠিক ঘুমের ধরন খুবই গুরুত্বপূর্ণ
  • কম ঘুমের কারণে মানুষ হতাশা, অস্থিরতা ও স্থূলতার শিকার হচ্ছেন
  • সাম্প্রতিক এক গবেষণায় মানুষের রাতে খারাপ ঘুমের কারণ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে

শরীর ও মনের সুস্থতার জন্য সঠিক ঘুমের ধরন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কম ঘুমের কারণে মানুষ হতাশা, অস্থিরতা ও স্থূলতার শিকার হচ্ছেন। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় মানুষের রাতে খারাপ ঘুমের কারণ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে অনেক বড় বিষয় যেমন মানসিক চাপ, অর্থ নিয়ে দুশ্চিন্তা এবং ঘরের তাপমাত্রা ঠিকঠাক না পাওয়া রয়েছে।

সমীক্ষায় ধরা পড়েছে
২ হাজার জনের ওপর করা একটি সমীক্ষা অনুসারে, প্রায় ৩৮ শতাংশ মানুষ অস্বস্তিকর গদির (বিছানা) কারণে পর্যাপ্ত ঘুমাতে অক্ষম। যেখানে ৩৬ শতাংশ মানুষের ঘুম ভেঙে যায় তাঁদের সঙ্গীর নাক ডাকার কারণে। প্রায়শই কিছু অভ্যাস যেমন ট্র্যাফিক নয়েজ, জানালার আলো এবং ক্যাফিনযুক্ত পানীয় খাওয়া একজন ব্যক্তির ঘুমের জন্য দায়ী।

আরও যা যা কারণ
এ ছাড়া ফোনের আলোতেও অনেকের ঘুমের ধরন নষ্ট হচ্ছে। যারা ঘুমানোর আগে ফোনে সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভ থাকেন (১৪%), গেম খেলা (১২%) এবং পড়া (১৩%) তাদের ঘুমের ওপর এটি খারাপ প্রভাব দেখিয়েছে। আসবাবপত্র খুচরা বিক্রেতা ডিএফএস দ্বারা পরিচালিত গবেষণা অনুসারে, গড় প্রাপ্তবয়স্করা রিপোর্ট করেছেন যে এই খারাপ অভ্যাসের ক্ষতিপূরণের জন্য তাঁদের প্রতি রাতে প্রায় চার ঘন্টা অতিরিক্ত ঘুমের প্রয়োজন।

'স্লিপ আনলিমিটেড'-এর ক্লিনিক্যাল ডিরেক্টর এবং 'টিচিং দ্য ওয়ার্ল্ড টু স্লিপ'-এর লেখক ডঃ ডেভিড লি বলেছেন, 'আমরা মহামারীর ফলে মানুষের রুটিনে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখেছি। তাই অবাক হওয়ার কিছু নেই যে অনেক মানুষ একটি ভাল শোওয়ার রুটিন বজায় রাখার জন্য সংগ্রাম করছে।

আরও পড়ুন: নীল হটপ্যান্ট পরে বুর্জ খলিফায় শ্রীলেখা, ছবি VIRAL

বিশেষজ্ঞদের অভিমত যে যাঁরা ঘুমের অভাবে সমস্যায় পড়েন, তাঁদের বেডরুমের পুনর্বিন্যাস করা দরকার। অফিস, পড়াশুনা বা বৈদ্যুতিক ডিভাইস ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য বাড়িতে অন্য জায়গা খুঁজুন। কিছুক্ষণ পরে আপনি বুঝতে শুরু করবেন যে শোওয়ার ঘরটা কেবল ঘুমানোর জন্য এবং সেখানে প্রবেশ করার পরে আপনি কেবল এই কাজটি করবেন।

Advertisement

এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে আমাদের গদি বা বালিশও ঘুমের মানের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। এর পাশাপাশি ঘরের বা বাড়ির আশেপাশের মানসিক বা শারীরিক পরিবেশও এর ওপর প্রভাব ফেলে। তাই ভাল মানের ঘুমের জন্য আপনার একটি আরামদায়ক বিছানা এবং একটি ভাল রুটিন আছে তা নিশ্চিত করুন।

রাতে অস্থিরতার কারণ
এই গবেষণায় এমন সব কারণের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে যা রাতে আমাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে স্ট্রেস, তাপমাত্রা, আরামদায়ক বিছানা বা বালিশ, অর্থের উদ্বেগ, অত্যধিক আলো, ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়, কর্মক্ষেত্রে উদ্বেগ সহ ট্র্যাফিকের শব্দ, অ্যালকোহল খাওয়া, মোবাইল ফোন ব্যবহার এবং ঘুমানোর কিছুক্ষণ আগে রাতের খাবার খাওয়া।

যাই হোক, প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন জানিয়েছেন যে তাদের ঘুমের মান ২০২০ সালের মার্চ থেকে উন্নত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২৮ শতাংশ মানুষ বলেছেন, এখন তাঁরা সন্ধেয় বিশ্রামের জন্য বেশি সময় নিচ্ছেন। বাড়ি থেকে কাজ করা প্রায় ২৭ শতাংশ লোককে বাড়ি থেকে কাজ করে ভাল ঘুম পেতে সহায়তা করেছে।

আরও পড়ুন: কোনও নদী না পেরিয়ে আপনি ঠিক কতদূর হেঁটে যেতে পারেন?

আরও পড়ুন: Home Loan নেবেন? তৈরি রাখুন এই কাগজপত্র, কাজ হবে জলদি

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement