Winter Foods for Kids: শীতের সময শিশুদের বিশেষ যত্ন করার দরকার রয়েছে। না হলে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শুধু গরম জামাকাপড় পরিয়ে রাখা কোনও সমাধান নয়। তাদের খাওয়াদাওয়ার ব্য়াপারেও সমান ভাবে গুরুত্ব দিতে হবে।
এই সময় তাদের এমন খাবার দিতে হবে যা তাদের শরীরকে ভেতর থেকে গরম রাখে। তা হলে রোগভোগের হাত থেকে দূরে থাকা যায়। এই মরশুমে কী কী খেলে শিশু থাকবে চনমনে জেনে নেওয়া যাক।
জোয়ার-বাজরার রুটি
এই রুটি সারা বছর খাওয়া যেতে পারে। তবে শীতকালে এগুলো খাওয়া সবথেকে ভাল। এই রুটি ভর্তা, ডাল, ঘি অথবা গুড় দিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
আমলকি
আমলকিতে থাকে প্রচুর ভিটামিন সি। এর পাশাপাশি আরও অনেক পুষ্টিগুণ। স্বাদের জন্য এর মধ্যে একটু নুন এবং হলুন দিয়ে দিন। শিশুদের খুব ভাল লাগবে। ভিটামিন সি ইমিউনিটি বাড়ায়। যা শরীরকে ঠান্ডা লাগার হাত থেকে বাঁচায়।
সবুজ সবজি
সপ্তাহে একদিন শিশুকে যে কোনও সবজি একটু আলাদা করে রান্না করে খাওয়ান। পালং, মেথি, পেঁয়াজের মতো জিনিস খাওয়ান। এর পাশাপাশি পালং পনির বা পালং রাইস খাওয়াতে পারেন। স্যান্ডউইচে সবজি যোগ করতে পারেন। এর ফলে শিশু প্রচুর পুষ্টি পাবে।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুর অনেক গুণ রয়েছে। এটি খেতেও বেশ। এটা সিদ্ধ করে এবং চাট মশলা দিয়ে শিশুকে খেতে দিতে পারেন। গরম গরম লালআলু ঘি দিয়ে শিশুকে খেতে দিন। ভাল লাগবে।
বাদাম
শীতের সময় বাদাম শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করে। কাজু, বাদাম, আখরোট দিন শিশুকে। স্বাদ ভাল করতে সামান্য ভেজেও দিতে পারেন। এটি মেটাবলিজম ঠিক রাখবে। এর পাশাপাশি প্রোটিনের মাত্রাও ঠিক থাকবে।
হলুদ
এক গ্লাস দুধের মধ্য়ে হলুদ মিশিয়ে খেতে দিন। শরীর গরম রাখতে সাহায্য করবে। আর ঠান্ডা লাগা থেকে শরীরকে বাঁচাবে। এটি ইমিউনিটি বাড়াতেও সাহায্য করে।
গুড়
শীতের সময় গুড় খাওয়া বাড়িয়ে দেওয়া খুব দরকার। সর্দি-কাশিতে আদা দিয়ে গুড় খেলে আরাম পাওয়া যায়। চিনির থেকে গুড় বেশি পুষ্টিকর। যে কোনও মিষ্টি খাবারে চিনির বদলে গুড় দিতে পারেন।
ডিম
আপনার শিশুকে রোজ একটা করে ডিম সেদ্ধ খাওয়াতে পারেন। শরীরকে গরম রাখবে এটি। এবং সেইসঙ্গে পুষ্টিও দেবে। সেদ্ধ ছাড়াও ওমলেট বানিয়ে খাওয়াতে পারেন।
সুপ
এক বাটি সুপে অনেক গুণ লুকিয়ে রয়েছে। শীতের সময় শরীরকে গরম রাখতে এি অন্যতম সেরা খাবার। এর মধ্যে কিছু সবজিও দিয়ে দিতে পারেন। তা হয়ে উঠবে আরও পুষ্টিকর।
গাজর
গাজরের মিষ্টি স্বাদ শিশুদের বেশ ভাল লাগে। গাজর দিয়ে অনেক খাবার বানানো যেতে পারে। গাজরের হালুয়া, সবজি বা স্যালাডও দিতে পারেন। গাজরে থাকা ভিটামিন এ শিশুদের সুস্থ রাখে আর সংক্রমণ থেকেও দূরে রাখে।