দুর্যোগ কাটার ইঙ্গিত। বৃষ্টি কমেছে উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ জায়গায়। পাহাড় থেকে ডুয়ার্সে আপাতত স্বস্তি। আপাতত নতুন করে বৃষ্টির ইঙ্গিত নেই।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস তাতে বাড়তি ভরসা যোগাচ্ছে। আপাতত বর্ষা বিদায় নেবে বলেই বলা হচ্ছে আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে।
দীর্ঘদিন পর আকাশ পরিষ্কার থাকায় ফের উঁকি দিচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। পাশাপাশি মরশুমের প্রথম তুষারপাত শুরু হয়েছে সোমবার থেকে।
সিকিমের নাথুলা, জিরো পয়েন্ট ঢেকে গিয়েছে সাদা বরফের চাদরে। যেদিকে চোখ যাচ্ছে শুধুই পেঁজা তুলোর মতো বরফ।
এই মুহূর্তে পর্যটক কম। যে কজন পর্যটক রয়েছেন, তাঁরা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেছেন বরফ পড়া। ঝুঁকি নিয়েও যাঁরা থেকে গিয়েছিলেন, তাঁরা এখন দারুণ খুশি।
অনেককেই বরফের গোলা বানিয়ে ছোড়াছুড়ি খেলতে দেখা গিয়েছে। উচ্ছ্বসিত এলাকার লোকজনও। পর্যটকরা ফের ঢুকবেন সিকিমে বলে আশাবাদী তারা।
গত কয়েকদিন থেকে প্রবল বৃষ্টি-ধসে বিধ্বস্ত পাহাড় থেকে সমতল। সিকিম, কালিম্পং, মিরিকে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে।
প্রবল ধসে একাধিক রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। দফায় দফায় ধস সরিয়ে রাস্তা খোলা হয়েছে। আপাতত বৃষ্টি না হওয়াতে কিছুটা স্বস্তিতে সকলেই।
পর্যটন সার্কিটও আশাবাদী যে পর্যটকরা নিরাপদে শীতকালীন ভ্রমণ শুরু করতে পারবেন। কারণ বর্ষা বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গিয়েছে।