Advertisement

স্পেশাল

International Wetlands Day and East Kolkata Wetlands : পূর্ব কলকাতায় জলাভূমির জমি এত উর্বর কেন? শুরু গবেষণা

অভিজিৎ বসাক
  • কলকাতা,
  • 02 Feb 2022,
  • Updated 2:47 PM IST
  • 1/12

International Wetlands Day and East Kolkata Wetlands: পূর্ব কলকাতা জলাভূমি এক প্রাকৃতিক বিস্ময়। একদিকে যেমন তা কলকাতার বর্জ্য শোধন করে, তেমনই জলাভূমি ঘিরে গড়ে উঠেছে জৈব বৈচিত্র্য। সব ছবি সৌজন্য: ফেসবুক

আরও পড়ুন: মকর সংক্রান্তিতে হরিদ্বার-ঋষিকেশে গঙ্গাস্নান নয়, প্রয়াগরাজে কড়াকড়ি

  • 2/12

প্রাকৃতিক উপায়ে সেখানে কলকাতার ময়লা জল শোধিত হয়। সেইসঙ্গে ওই এলাকায় বিভিন্ন রকমের সবজি, ফসল চাষ করা হয়। সেখানকার মাটি বেশ উর্বর। সেখানে কী ধরনের আণুবীক্ষণিক জীবাণু পাওয়া যায়, তা নিয়ে গবেষণা শুরু হয়ছে। 

আরও পড়ুন: উপাচার্যকে কটূক্তি, মিউজিক থেরাপি নিয়ে গুচ্ছ বিধিনিষেধ বিশ্বভারতীর

  • 3/12

দেখা গিয়েছে, সেগুলো রং বা ডাই ধ্বংস করতে সক্ষম। মানে কলকারখানার রং জলে মিশলে সেগুলো তা নষ্ট করে ফেলতে পারে। এ ব্য়াপারে গবেষণা করছে বিজ্ঞানী ডঃ স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী। ২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জলাভূমি দিবস। পূর্ব কলকাতা জলাভূমির গুরুত্বের ব্য়াপারে মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

আরও পড়ুন: 'নিরুদ্দেশ' বিরিয়ানির হাঁড়ি, খুঁজতে গিয়ে 'কিডন্যাপ' যুবক!

  • 4/12

পূর্ব কলকাতা জলাভূমি একটি রামসর এরিয়া। ইরানে ১৯৭১ সালে জৈবপরিবেশ রক্ষা নিয়ে সভা হয়েছিল। জলাভূমি রক্ষা এবং তার যথাযথ ব্যবহার নিয়ে। ২০০২ সালে রামসর সাইট হিসেবে পরিচিতি পায় পূর্ব কলকাতা জলাভূমি। বিস্তৃতি এবং জৈববৈচিত্র্যের জন্য আলাদা পরিচয় রয়েছে। জায়গাটার এত নাম ডাক কেন? কারণ এটা কলকাতার কিডনি হিসেবে কাজ করে। কলকাতার বর্জ্য জল শোধিত হয়ে যায় সেখানে। 

আরও পড়ুন: লখনউয়ে চাউমিন দিয়ে ফুচকা! দেখে তাজ্জব নেটপাড়া, ভিডিও VIRAL

  • 5/12

বিজ্ঞানী ডঃ স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী সেখানকার জীবাণুর ডেটাবেস তৈরি করছেন। তিনি জানান, সেখানে থাকা অতি ক্ষুদ্র জীবাণু জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করছে। নাইট্রোজেন, ফসফেটের পরিমাণ বাড়াচ্ছে জমিতে। যা চাষের জন্য খুব কাজের। সে প্রক্রিয়া একেবারে প্রাকৃতিক উপায়ে হয়। ওই এলাকায় কী কী ধরনের জীবাণু রয়েছে, তা দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: তুলসী-জোয়ান চা ইমিউনিটি বাড়ায়, জানুন আর কী কী গুণ

  • 6/12

তিনি আরও জানান, সেখানকার জলে যে ব্য়াকটিরিয়া রয়েছে, সেগুলো ডাই বা কালার শোধন করে ফেলছে। এখনও পর্যন্ত দশটি ব্যাকটিরিয়া পেয়েছেন। তবে করোনা সংক্রমণের কারণে কাজে একটু দেরি হচ্ছে। 

  • 7/12

এর পাশাপাশি নাড়া পোড়া ঠেকানো যেতে পারে ওই ব্য়াকটিরিয়া দিয়ে। এর ফলে দূষণ কমবে, জমির উর্বরতা বাড়ানো যাবে।

 

  • 8/12

সারা কলকাতার যে বর্জ্য জল জমা হয়, তা প্রাকৃতিক উপায়ে সেখানে শোধন হয়। তার ফলে ওই জলে কোনও ভারী ধাতু থাকছে না। ধাতব মৌল শাক, সবজি, মাছ কিছুতেই প্রভাব ফেলে না। এর পাশাপাশি সেখানে প্রচুর ওষধি গাছও হয়। সেখানে বিভিন্ন প্রাণী, পাখিও দেখা যায়। জানাচ্ছেন তিনি।

  • 9/12

তিনি জানান, এই ধরনের জৈব বৈচিত্র্য়ের তালিকা তৈরি আগে করা হয়েছে। কিন্তু মাইক্রোবিয়াল ডেটাবেস মানে অতিক্ষুদ্র জীবাণুর কোনও তালিকা তৈরি হয়নি। এগুলো পরিবেশে বিভিন্ন ভাবে প্রভাব রেখে যাচ্ছে। সেখানকার জল, মাটি কী রয়েছে, তা দেখা হচ্ছে। এই জীবাণু মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করছে। 

 

  • 10/12

এই তালিকার গুরুত্ব কোথায়? তিনি জানান, এইগুলো মানে ব্য়াকটিরিয়া, ফাংগাসের প্রোটেনশিয়াল দেখা যাচ্ছে। সেগুলো আরও বিভিন্ন কাজে লাগানো যায়। এত কঠিন পরিস্থিতি থেকে সেগুলো টিকে থাকছে। কী করে থাকছে, তা দেখা হচ্ছে।

  • 11/12

জলাভূমিতে রুই, কাতলা, মৃগেল, তেলাপিয়া মাছ পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি ফিঙে, মাছরাঙা, ফিশিং ক্যাট বা বাঘরোলের দেখা মেলে। কেঁচোও থাকে প্রচুর। 

 

  • 12/12

তিনি বলেন, "একে বাঁচিয়ে রাখতেই হবে। এখানে কোনও নির্মাণ করা ঠিক নয়। সেখানে বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং বসানো হয়েছে। জেনারেট থাকার ফলে সেখানকার জীববৈচিত্র্যে প্রভাব ফেলে। সেখানকার জীববৈচিত্র্য নিয়ে একটি মিউজিয়াম করা যেতে পারে।"

Advertisement
Advertisement