স্মার্টফোন যেখানে বিলাসিতা, সেখানে যদি হঠাৎ করে টেকনোলজির সব সুবিধা ধরা দেয় তাহলে যেমন চমক লাগবে, প্যানগংয়ের ক্ষেত্রেও অনেকটা তাই। লাদাখের এই সম্প্রতি 'অশান্ত সীমান্তে' প্রথমবারের মত মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন গ্রামবাসীরা। যার জেরে খুশির হাওয়ায় তুফান উঠেছে গ্রামটিতে।
এই প্রথমবার লাদাখের প্যানগং লেক তীরবর্তী গ্রামটিতে মোবাইল কানেক্টিভিটি আসল। বিংশ শতাব্দীতে মোবাইল ছাড়া যেখানে অচল দুনিয়া, সেখানে এই খবরে আনন্দের বান ডেকেছে গ্রামবাসীদের মনে।
এই প্রথমবারের মত বিএসএনএল সেখানে মোবাইল পরিষেবা এনেছে। লাদাখের প্যানগং এলাকায় একাধিক জায়গায় টাওয়ার বসিয়েছে বিএসএনএল। বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র উপায় এখন এটিই। এর আগে সেনা ও প্যারামিলিটারি ফোর্স কেবল মোবাইল ব্যবহার করতে পারতেন।
মোবাইল সার্ভিস একালায় চালু করার দিনে চুশলের স্থানীয় কাউন্সিলর কঞ্চোক স্টাজিন বলেন, ১৯৪৭ এর পর এই প্রথম এই এলাকায় মোবাইল কানেক্টিভিটি নিয়ে আসা সম্ভব হল। সেনাদের সঙ্গে এই বিএসএনএল টাওয়ার উদ্বোধন করেন তিনি।
এই টাওয়ার বসানোর ক্ষেত্রে সেনারা অনেকটাই সাহায্য করেছেন এমনটাই জানান স্থানীয় কাউন্সিলর। অপটিকাল ফাইবারের মাধ্যমে এই কানেক্টিভিটি করা হয়েছে এলাকায় । এই গ্রামে বর্তমানে ৩০০ পরিবার থাকে।
এই মুহুর্তে এই মোবাইল পরিষেবা ভারতের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। গত বছর চিন-ভারতের লাদাখ সমস্যা এখনও জারি রয়েছে। সেখানে এই যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব তাৎপর্যপূর্ণ।