Advertisement

খেলা

T20 World Cup Ind Vs Pak: পাকিস্তান বধে কোহলির 'বিরাট' ইনিংস, আবেগের ম্যাচে ৫ টি বিশেষ মুহূর্ত

Aajtak Bangla
Aajtak Bangla
  • মুম্বই,
  • 23 Oct 2022,
  • Updated 8:06 PM IST
  • 1/10

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫৩ বলে ৮২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ভারতকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২০২২-এর প্রথম ম্যাচে রোমহর্ষক জয় এনে দিয়েছেন বিরাট কোহলি। দোসর শুধু হার্দিক পাণ্ডিয়া। হার্দিক পান্ডিয়াকে সঙ্গে নিয়ে কার্যত একার হাতে পাকিস্তানি বিজয় পতাকা টেনে নামিয়েছেন মাটিতে। শেষ সাক্ষাতে পাকিস্তানকে বাগে পেয়েও হারানো যায়নি। এবার সেই আক্ষেপ সুদে আসলে মিটিয়ে দিয়েছেন কিং কোহলি। পরিস্থিতি ছিল প্রায় অসম্ভব। সেই জায়গা থেকে ম্যাচ বের করে আনার পিছনে কোহলিকে ১০০ তে ২০০ নম্বর দেওয়াই যায়। আসুন দেখে নিই আজকের ম্যাচের সেরা পাঁচ মুহূর্ত...

  • 2/10

১. ভারতীয় ইনিংসকে এদিন তৈরি করেছেন বিরাট-হার্দিক। এদিন দ্রুত চারটি উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। রোহিত শর্মা, কে এল রাহুল, সূর্য কুমার যাদব এবং অক্ষর প্যাটেলের উইকেট হারিয়ে ভারত তখন ধুঁকছে। ফলে সেই সময় উইকেট পতন আটকানো জরুরি ছিল। প্রথম ২০-২৫ বলে বিরাট কোহলির স্ট্রাইক রেড ৫০ এরও কম ছিল। হার্দিকের অবস্থাও ছিল তথৈবচ। ফলে বোঝা যাচ্ছে পাকিস্তানি বোলিংয় কতটা দুর্ধর্ষ ছিল। সেই জায়গা থেকে ঠান্ডা মাথায় বিরাট ম্যাচ গড়েছেন হার্দিক পান্ডিয়াকে সঙ্গে নিয়ে। প্রথমে তাঁকে খেলিয়েছেন, পরে প্রায় অসম্ভব হয়ে যাওয়া ম্যাচে নিজেদের ফিরিয়ে এনেছেন কার্যত অসম্ভবক সম্ভব করে।

  • 3/10

২. এদিনের ম্যাচে বিরাট কোহলির পাশাপাশি বলতে হবে হার্দিক পান্ডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসটিকেও। চল্লিশ রানের ইনিংসে হার্দিক পান্ডিয়া যখন আউট হয়ে ফিরছেন। তখন ম্যাচ প্রায় হাতের মুঠোয়। তার আগে বিরাটকে রিলিফ দেওয়ার কাজটি কিন্তু হার্দিক করেছেন। বিরাট আর হার্দিকের যে পার্টনারশিপ যে খুব সহজে এসেছে, তা নয়।

  • 4/10

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ তাঁরা যেটা করেছেন, উইকেট পতন আটকে দিয়েছেন। এরপর ধীরে ধীরে ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। পাকিস্তানের আগুনে বোলিংয়ের সামনে তাদের মধ্যে যে কোনও একজন কেউ আউট হয়ে গেলে ম্যাচ জেতা প্রায় অসম্ভবই হয়ে যেত। এরপরেও যে রান খুব সহজে এসেছে তা নয়, প্রথমে হার্দিক, বিরাটকে সহযোগিতা করেছেন। নিজে রান করেছেন এবং বিরাটের উপর থেকে চাপ খানিকটা হলেও হালকা করেছেন। এরপরে হাত খুলে মারা শুরু করেন বিরাট কোহলি

  • 5/10

৩. সেরা মুহূর্তের মধ্যে নম্বর তিন, দীর্ঘক্ষণ ইনিংস বিল্ড আপ করলেও পাকিস্তানের টাইট বোলিংয়ের সামনে কিছুতেই স্বাভাবিক ব্যাটিং এবং রান করা সম্ভব হচ্ছিল না। বিশেষ করে এদিন চার ওভারের মধ্যে শেষ দুটি বল ছাড়া আগাগোড়া আনপ্লেয়েবল ছিলেন পাকিস্তানের হ্যারিস রউফ। ম্যাচ প্রায় হাতের বাইরে চলে যাওয়ার মুখে যখন ৮ বলে ২৮ রান দরকার, হ্যারিসকে যেভাবে ক্রিজে দাঁড়িয়ে পরপর দু'বলে লং লেগ এবং আরেকটি ব্যাকওয়ার্ড শর্ট লেগের উপর দিয়ে তুলে ফেলে দিলেন, এটি একেবারেই বিরাটোচিত নয়। তবে সময়োচিত বটে।

  • 6/10

আর এখানেই দুমড়ে গেল পাকিস্তান। শেষ ওভারে ১৬ রান দরকার ছিল ভারতের। যা কোনও মতেই সহজ নয়। তার উপরে শেষ ওভারে প্রথম বলে হার্দিক পান্ডিয়াও আউট হয়ে বসেন। তারপরেও নার্ভ ধরে রাখতে পারেনি পাকিস্তান। তার পিছনে এদিনের সেরা বোলার  হ্যারিসকে মেরে মনোবল ভেঙে দিয়েছেন বিরাট। যার প্রভাব শেষ ওভারে আগোছালো বোলিং করলেন। রউফ. যিনি আগাগোড়া গোটা ম্যাচে ভালো বল করেছেন তাঁকে ওভাবে নতজানু হতে দেখে দল খেই হারিয়ে ফেলে। ফলে কি মুহূর্ত নাম্বার ৩-এ এটিকে রাখতেই হচ্ছে।

  • 7/10

৪. ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত নম্বর ৪, এর মধ্যে আরেকটি বিরাট কোহলি যখন শেষ ওভারে পাকিস্তানি স্পিনারকে মিড উইকেট এর উপর দিয়ে মাঠের বাইরে ফেলছেন। সেই বলটি কোমরের উপরে ফুল টস হয়। ফলে পরের বলটি ছিল ফ্রি হিট। সুইপ করতে গিয়ে মিস করেন কোহলি এবং বলটি সোজা স্ট্যাম্পে লাগে। 

  • 8/10

ফ্রি হিট হওয়ায় আউট হওয়ার কোন প্রশ্ন ছিল না। কিন্তু পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা সমস্বরে আপিল করতে থাকেন। আর সেই সুযোগে বিরাট দৌড়ে তিনটি রান নিয়ে নেন। যা ম্যাচে পাকিস্তানের শেষ সম্ভাবনাটুকু বিনষ্ট করে দেয়।

  • 9/10

৫. ম্যাচের পরও নানা রকম মুহূর্ত তৈরি হল। সেগুলিও তো কম প্রাপ্তি নয়।  এই ম্যাচের পর প্রাপ্তি রোহিত শর্মার দৌড়ে এসে বিরাট কোহলিকে কাঁধে তুলে নেওয়া। এর আগে অনেক নিউজপ্রিন্ট খরচ হয়েছে রোহিত-বিরাটের সম্পর্ক নিয়ে। বিরাট, রোহিতকে অধিনায়ক চাননি, রোহিত বিরাটকে পছন্দ করেন না। টুইটারে আনফলো করেছেন। এমন অনেক আলোচনায় ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিভিন্ন জায়গায়।

  • 10/10

কিন্তু এদিন আগাগোড়া রোহিত দাঁড়িয়ে থেকে বিরাটের প্রতিটি শট চিয়ার করেছেন। ম্যাচের পর কৃতিত্ব দিয়েছেন। রোহিত ম্যাচ শেষে দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরেছেন, পাশাপাশি সূর্যকুমার যাদবও নিজের ব্যর্থতা ভুলে বিরাটকে জড়িয়ে ধরেছেন। নিজে শেষ বলে চার মেরে দলকে স্বস্তির নিঃশ্বাস এনে দিলেও বিরাটকে ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরে রবিচন্দ্রন অশ্বিন বুঝিয়ে দিয়েছেন, এ ম্যাচের যাবতীয় কৃতিত্ব তোমার প্রাপ্য।

Advertisement
Advertisement