'কেউ যদি দেশের কথা ভেবে থাকেন, তিনি একমাত্র নেতাজি। তিনি থাকলে দেশভাগ হত না।' এমনটাই মনে করতেন কিংবদন্তি ফুটবলার গোষ্ঠ পাল। সুভাষ চন্দ্র বসুর (Subhash Chandra Bose) থেকে বয়সে এক বছরের বড় হলেও তাঁর প্রতি বিরাট শ্রদ্ধা ছিল গোষ্ঠ পালের (Gostho Pal)। নেতাজির মত সরাসরি স্বাধীনতা সংগ্রামে (Indian Freedom Movement) অংশ না নিয়েও খেলার মাঠে বারেবারে ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছেন ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার।
ছদ্মবেশে গোষ্ঠ পালের খেলা দেখতে এসেছিলেন নেতাজি
ফুটবলার হিসেবে গোষ্ঠ পাল বেশ নাম করেছিলেন কলকাতা ময়দানে। আর অন্যদিকে দেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন সুভাষ চন্দ্র বসু। এর মাঝেই মোহনবাগানের ভক্ত সুভাষ চন্দ্র বসু ময়দানে খেলা দেখতে এসেছিলেন। আসলে ফুটবল নিয়ে আলাদা একটা আবেগ কাজ করত তাঁর মধ্যে। তাই বিপদ হতে পারে জেনেও ছদ্মবেশে মোহনবাগানের ম্যাচ দেখতে এসেছিলেন সুভাষ। গোষ্ঠ পালের পুত্র নিলাংশু পাল bangla.aajtak.in-কে বলেন, 'কোনোদিনই নেতাজির সঙ্গে আমার বাবার সামনাসামনি দেখা হয়নি। তবে বাবার প্রতিও নেতাজির শ্রদ্ধা ছিল। আবার উল্টো দিকে বাবাও নেতাজির কথা বলতেন বারেবারে।'
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন নেতাজি? কলকাতায় যে ফলকে লেখা 'ভূতপূর্ব রাষ্ট্রপতি'
এরপর সেই ম্যাচের কথা বলতে গিয়ে আবেগে গলা ধরে আসে নিলাংশুর। তিনি বলেন, 'বাবা সেই সময় মোহনবাগানের হয়ে খেলছেন। খেলাটা ছিল ক্যালকাটা ফুটবল ক্লাবের বিরুদ্ধে। এখনকার মোহনবাগান মাঠে। মনে করিয়ে দিই, এখন যেখানে মোহনবাগান তাঁবু, তখন কিন্তু সেখানে ছিল না। অর্থাৎ খেলাটা মোহনবাগানের ঘরের মাঠে নয়। সেই ম্যাচে জিতেছিল সবুজ-মেরুন ক্লাব। বাবা জানতেন না তাঁর খেলা দেখতে হাজির হয়েছেন স্বয়ং নেতাজি। কারণ তিনি এসেছিলেন ছদ্মবেশে। খেলা শেষ হয়ে যাওয়ার পর, বাবাকে একজন এই খবর জানান।'
আরও পড়ুন: ১২৫ নাকি ১২৬, এবছর নেতাজির কততম জন্মদিন?