BCCI on Ranji Trophy: রঞ্জি ট্রফি (Ranji Trophy) ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। তবে ম্যাচের আগে পাঁচ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এবং সাপোর্ট স্টাফ-সহ স্কোয়াডের সদস্য সংখ্য়া ৩০-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। বিসিসিআই (BCCI) ন'টি ভিন্ন বায়ো-বাবলের মধ্যে ৩৮টি দলের এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। কোভিড-১৯ (COVID-19) অতিমারী থেকে বাঁচার জন্য এই পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন: বছরে আয় ১০ লক্ষ টাকা হলেও এক পয়সাও Income Tax নয়? দেখুন কীভাবে সম্ভব
বিসিসিআই (BCCI) এর আগে ঘোষণা করেছিল যে অতিমারীর কারণে দু'বছর পর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রঞ্জি ট্রফি। সেটি আইপিএলের আগে এবং পরে- দু'টি পর্বে অনুষ্ঠিত হবে।
বিসিসিআই নির্দেশিকা জারি করেছে
মঙ্গলবার বোর্ড (BCCI) নয়টি হোস্ট অ্যাসোসিয়েশনকে আয়োজন করার জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে। পাঁচ পৃষ্ঠার নথিতে বলা হয়েছে যে প্রতিটি স্কোয়াডে ন্যূনতম ২০ জন খেলোয়াড় সহ সর্বাধিক ৩০ জন সদস্য থাকতে পারবেন। সাপোর্ট স্টাফের সংখ্যা ১০-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ।
সেখানে আরও বলা হয়েছে, "২০ জন খেলোয়াড় ম্যাচ ফি পাওয়ার যোগ্য হবেন (প্লেয়িং ইলেভেন ১০০ শতাংশের জন্য যোগ্য হবেন এবং বাকি ৯ জন ৫০ শতাংশের জন্য যোগ্য হবেন)।" প্রতি দলে দু'টি করে কোভিড রিজার্ভের অনুমতি দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ১৮ মাসে ১৩৫ কেজি ঝরিয়ে এখন মিক্সড মার্শাল আর্ট ফাইটার!
আহমেদাবাদে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন সৌরাষ্ট্র এবং মুম্বইয়ের মধ্যে উদ্বোধনী রাউন্ডের লড়াই হবে। যেখানে চেতেশ্বর পূজারা এবং অজিঙ্কা রাহানে তাঁদের নিজের নিজের দলের হয়ে নামবেন।
আহমেদাবাদে পূজারা বনাম রাহানের লড়াই
মঙ্গলবার পুজারা সৌরাষ্ট্র দলে জায়গা করে নিয়েছেন। আর রাহানেকে মুম্বই দলে রাখা হয়েছে। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারেরই বড় রানের খুব প্রয়োজন। এবং একটি রঞ্জি ট্রফি সেঞ্চুরি তাঁদের টেস্ট ক্যারিয়ারকে ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে। সব দল ১০ ফেব্রুয়ারি তাঁদের নিজের নিজের ভেন্যুতে একত্রিত হবে। পরে খেলোয়াড়রা বাধ্যতামূলক পাঁচ দিনের কোয়ারেন্টাইনে যাবেন।
আরটি-পিসিআর (RT-PCR) পরীক্ষা, ৯ হোস্ট অ্যাসোসিয়েশন
আরটি-পিসিআর পরীক্ষা হবে দ্বিতীয় এবং পঞ্চম দিনে। প্র্যাকটিসের জন্য ১৫ এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি- এই দুই দিন রেখে দেওয়া হবে।
প্রথম পর্বে খেলা হবে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল। ১১ মার্চ থেকে শুরু হবে পাঁচ দিনের ম্যাচ। যে দলগুলো একমাত্র রাউন্ড-অফ ১৬-এ অংশ নেবে, তাদের চারদিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
রঞ্জি ট্রফির দ্বিতীয় পর্ব হল কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল সমন্বিত। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী তা ৩০ মে থেকে অনুষ্ঠিত হবে।
নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, প্রতিটি দলকে ''কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য একজন চিকিৎসক রাখা দরকার।'' BCCI প্রতি ম্যাচের দিন হোস্টিং ফি বাড়িয়ে ১.২৫ লক্ষ টাকা করেছে। আগে পুরো খেলার জন্য পাঁচ লাখ টাকা খরচ হত।
বত্রিশটি দলকে আটটি এলিট গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। অন্যদিকে, ছয়টি দল প্লেট ডিভিশনে রয়েছে। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল হবে আটটি এলিট গ্রুপের সর্বনিম্ন র্যাঙ্কিংয়ে থাকা দল এবং প্লেটের টপারের মধ্যে। প্রথম পর্বে ৫৭টি এবং দ্বিতীয় পর্বে ৭টি খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
খেলার জায়গা
ভেন্যুগুলো হল রাজকোট, কটক, আহমেদাবাদ, চেন্নাই, তিরুবনন্তপুরম, দিল্লি, হরিয়ানা, গুয়াহাটি এবং কলকাতা।